এই সময়, নয়াদিল্লি: রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উদ্যোগে কয়েক মাস আগেই প্রাথমিকে ৯,৫৩৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে৷ ১১,৭৫৮টি মোট পদের মধ্যে এখনও ২,২২৫টি শূন্যপদে নিয়োগ বাকি আছে বলে সূত্রের খবর৷ ওই শূন্য পদগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছে পর্ষদ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি মেধা তালিকা৷সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলায় সংরক্ষিত পদে যোগ্য প্রার্থীর অভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। এই আবহে দ্রুত মেধা তালিকা প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ২০২০-২২ সালের ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা ডিএলইডি পাশ চাকরিপ্রার্থীরা৷

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে পর্ষদের ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তোলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া৷ তাঁর অভিযোগ, অন্যায় ভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ আটকে রেখে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই ঝুলিয়ে রেখেছে পর্ষদ৷ এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা নিজেদের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘আপনারাই গন্ডগোল তৈরি করে নিজেদের ভূমিকাকে সন্দেহজনক করে তুলছেন৷’

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতিদের নির্দেশ, আগামী ২৩ জুলাই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷ তার আগে ২০২২ সালের শিক্ষক নিয়োগের অপ্রকাশিত তালিকা প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ সহ সিল বন্ধ খামে শীর্ষ আদালতে পেশ করতে হবে৷ পর্ষদের আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁরা আদালতের নির্দেশ মতো সিল বন্ধ খামেই পেশ করবেন তালিকা৷

প্রাথমিকে সহকারি শিক্ষকের চাকরি পেতে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০২০-২২ ব্যাচের ডিএলএড প্রশিক্ষতরা অংশ নিতে পারেন কি না, তা ঠিক করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তাই কারা ওই পদের যোগ্য, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারা অংশ নিয়েছিল, তার বিস্তারিত মুখবন্ধ খামে আদালতকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী শুনানিতে ঠিক হবে দু’হাজারের চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version