পুলিশ জানিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রগুলির লাইসেন্স ছিল। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভোটের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরতে গেলে জেলা শাসক বা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি লাগে। তবে তা তাঁদের কাছে ছিল না। ভোটের আগের দিন নগদ টাকা কোথায়, কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তার কোনও সদুত্তোর দিতে পারেননি ওই BJP নেতা। ইতিমধ্যেই তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, দাদপুর থানা ও নির্বাচন কমিশনের এসএসটি টিম নাকা তল্লাশি চালানোর সময় স্বরাজ ঘোষের গাড়ি থেকে টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত, স্বরাজ ঘোষ কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে চন্দননগরে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগদান করেন।
স্বাভাবিকভাবেই BJP নেতার গাড়িতে এত টাকা কোথা থেকে এল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোমবার ভোট। তার আগে শনিবারদিন তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন? এই প্রশ্নগুলি তুলে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ, ‘ওদের ভোট করানোর জন্য মদের খরচ নিয়ে যা বলার আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। ভোটের আগের দিন এত নগদ টাকা নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার অর্থ কী হয়, তা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। সকলেরই তা জানা।’
উল্লেখ্য, সোমবার হুগলি কেন্দ্রে নির্বাচন। সেখানে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সামনে রয়েছেন হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দুইজনেই একসময় টলিউডে সতীর্থ ছিলেন। তাঁদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। ১ জুন রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচন। আগামী ৪ জুন প্রকাশিত হবে ভোটের ফলাফল।