সকাল ৮:২০ মিনিট শ্রীরামপুরের বিবেকানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয় আসেন। শ্রীরামপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকলেই তাঁকে নিয়ে সেলফি তোলার জন্য আবদার করেন ভোটাররা। তিনি হাসিমুখে ভোটারদের সেই আবদার মেটান। যদিও অভিযোগ করেন, বেশ কিছু জায়গায় ইভিএম খারাপের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে ভোটাররা এই গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট পাচ্ছেন। এই ব্যাপারটা তিনি কমিশনের নজরে আসে।
সেখান থেকে শ্রীরামপুরের চাকুন্ডি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দেখতে আসেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একদফা ভোট সফর করে সকাল ৯:৩০ ডানকুনিতে কচুরি দিয়ে হয় জলযোগ। এরপর ফের নিজের নিজের কেন্দ্রের এই বুথ থেকে আরেক বুথে ছুটে চলা শুরু। সকাল ১১:৩০ ভোট দান প্রক্রিয়া দেখার ফাঁকে জাঙ্গিপাড়ার রাজবল্লভী মন্দিরে যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ বলে, ‘খুব জাগ্রত মা তাই এখানে আসি মাঝেমধ্যেই।’ হুলজীর জাঙ্গিপাড়ায় এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে জওয়ানের বিরুদ্ধে। দল বিষয়টি নিয়ে কমিশনে জানায়। বেলা ১২ টা জাঙ্গিপাড়ার যে গ্রামে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে সেই গ্রামে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বললেন। কী হয়েছিল তা বিস্তারিত শোনেন। প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘তফসিলি মহিলার উপর অত্যাচার হল এখন প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন না কেন?’
দুপুর ২ টোয় কল্যাণ পৌঁছন হাওড়ায়। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে হাওড়ার দুটি বিধানসভা ডোমজুড় ও জগৎবল্লভপুর। ডোমজুর বিধানসভার বাঁকরা হাই ইসলামিয়া হাইস্কুলে সামনে অবাঞ্ছিত জমায়েত। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাঁশি বাজিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন। তৃণমূল প্রার্থী ওই স্কুলে পৌঁছন কিছুক্ষণের মধ্যেই। অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘু ভোট যেখানে সেখানে ইচ্ছা করে বাহিনী এসব করছে। বিজেপি সিপিএমকেও দোষারোপ করেন কল্যাণ। বেলা পড়তেই নিজের জেলার কর্মী-নেতৃত্বের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করেন। ৪ তারিখ কী ফল মিলবে? ভোট শেষে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল প্রার্থী।
অন্যদিকে, শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী দীপ্সিতা ধর ডোমজুড় বিধানসভার নিজের এলাকায় চিত্তরঞ্জন হাই স্কুলে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ভোট দেন । দীপ্সিতা বলেন,’প্রত্যেক মানুষ তার নিজের পছন্দের মানুষকে ভোট দিক। অনেক জায়গায় আমাদের এজেন্টের বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ হাওড়া জেলার অন্তর্গত শ্রীরামপুর লোকসভার ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর দুটি বিধানসভাতে দেখা যায় দীপ্সিতাকে।