এ বার প্রার্থী নির্বাচনে অনেক আসনে তরুণ প্রজন্মের উপরে ভরসা রেখেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আবার যে জায়গায় অভিজ্ঞতার সঙ্গে লড়াইয়ের প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, নিরাপদ সর্দার, জাহানারা খান, এসএম সাদির মতো পোড়খাওয়া নেতারাও ভোটে লড়েছেন। সেই সঙ্গে এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতাও করেছে বামেরা।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট মনে করছে, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধর, দমদমে সুজন চক্রবর্তী, মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিম, কৃষ্ণনগরের এসএম সাদি ভালো ফল করতে পারেন। আবার প্রদেশ কংগ্রেসের আশা, জঙ্গিপুরে মোর্তজা হোসেন ওরফে বকুল, বহরমপুরে অধীর চৌধুরী, রায়গঞ্জে আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর), মালদা দক্ষিণে ইশা খান চৌধুরী এবং মালদা উত্তরে মোস্তাক আলম ভালো ফল করতে পারেন।
এগজি়ট পোলে বিজেপি ও তৃণমূলকে অনেকটা এগিয়ে রাখা হলেও, সেই হিসেবকে গুরুত্ব না দিয়ে দুই দলের নেতারা আগামী ৪জুন, গণনার দিন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন দলীয় কর্মীদের। কলকাতা উত্তরের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘এই এগজি়ট পোল একদম ফ্রড। এই বিদ্যা অবশ্য বিজ্ঞানসম্মত। কিন্তু যাঁরা এটা প্রয়োগ করছেন, তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে করছেন। তা না হলে, ঘরে বসে সমীক্ষা করেছেন। আমাদের মাইনাস দিল না কেন? আমাদের কর্মীদের ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই।’
সুজনের কথায়, ‘গত বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার এগজি়ট পোলের হিসেব মেলেনি। এবারও বিজেপি-তৃণমূলের ফল খুব একটা ভালো হবে না। আমাদের ভিত আরও শক্ত হবে।’