CPIM West Bengal : ভোট বাড়বে, বার্তা দিয়ে কর্মীদের চাঙ্গা করতে চায় হাত-কাস্তে – lok sabha election 2024 votes will increase cpim message to party workers


এবার বাংলায় বাম-কংগ্রেসের সিট দুই অঙ্কে পৌঁছনোর আভাস দিতে পারেনি কোনও এগজি়ট পোল। রাজ্যে মেরেকেটে ১-৩টি আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে বেশ কয়েকটি বুথ ফেরত সমীক্ষায়। যদিও এগজি়ট পোলের হিসেবের সঙ্গে একমত নয় কংগ্রেস-বামেরা। ভোট শতাংশের সঙ্গে বঙ্গে আসনের সংখ্যাও বাড়বে বলে আশাবাদী বাম-কংগ্রেস জোট।সেই হিসেব তুলে ধরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের হতাশ না হওয়ার বার্তা দিচ্ছে তারা। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মালদা দক্ষিণ এবং বহরমপুর আসন দু’টি কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল। জোট না হলেও, সেখানে সিপিএম কোনও প্রার্থী দেয়নি। যদিও বামেদের হাত শূন্যই ছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৩.২৮ শতাংশ ভোট, বিজেপি ৪০.২৫, কংগ্রেস ৫.৬১ এবং বাম সহ অন্যান্য ১০.৮৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

এ বার প্রার্থী নির্বাচনে অনেক আসনে তরুণ প্রজন্মের উপরে ভরসা রেখেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আবার যে জায়গায় অভিজ্ঞতার সঙ্গে লড়াইয়ের প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, নিরাপদ সর্দার, জাহানারা খান, এসএম সাদির মতো পোড়খাওয়া নেতারাও ভোটে লড়েছেন। সেই সঙ্গে এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতাও করেছে বামেরা।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট মনে করছে, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধর, দমদমে সুজন চক্রবর্তী, মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিম, কৃষ্ণনগরের এসএম সাদি ভালো ফল করতে পারেন। আবার প্রদেশ কংগ্রেসের আশা, জঙ্গিপুরে মোর্তজা হোসেন ওরফে বকুল, বহরমপুরে অধীর চৌধুরী, রায়গঞ্জে আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর), মালদা দক্ষিণে ইশা খান চৌধুরী এবং মালদা উত্তরে মোস্তাক আলম ভালো ফল করতে পারেন।
বঙ্গের পূর্বাভাসে কান নয়: তৃণমূল

এগজি়ট পোলে বিজেপি ও তৃণমূলকে অনেকটা এগিয়ে রাখা হলেও, সেই হিসেবকে গুরুত্ব না দিয়ে দুই দলের নেতারা আগামী ৪জুন, গণনার দিন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন দলীয় কর্মীদের। কলকাতা উত্তরের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘এই এগজি়ট পোল একদম ফ্রড। এই বিদ্যা অবশ্য বিজ্ঞানসম্মত। কিন্তু যাঁরা এটা প্রয়োগ করছেন, তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে করছেন। তা না হলে, ঘরে বসে সমীক্ষা করেছেন। আমাদের মাইনাস দিল না কেন? আমাদের কর্মীদের ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই।’

সুজনের কথায়, ‘গত বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার এগজি়ট পোলের হিসেব মেলেনি। এবারও বিজেপি-তৃণমূলের ফল খুব একটা ভালো হবে না। আমাদের ভিত আরও শক্ত হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *