দার্জিলিঙের এক পর্যটন ব্যবসায়ীর কথায়, ‘সিজন অনুযায়ী ভালো রকম পর্যটক আছেন দার্জিলিঙে। বর্ষা বাড়লে কমে যাবে সেই সংখ্যাটা। তবে, সিকিমের দিকে ধসের জন্য অনেক পর্যটক দার্জিলিঙের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছেন। দার্জিলিঙের দিকে যোগাযোগ ব্যবস্থার সেরকম কোনও সমস্যা নেই।’ শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত যান চলাচলে কোনও অসুবিধা নেই। এমনকি, সিকিমের গ্যাংটক বা অন্যান্য পর্যটন স্থানে বেশ কিছু গাড়ি যাচ্ছে। গাড়ি চালক মেহবুব খান বলেন, সিকিমে কয়েক জায়গায় ধস পড়েছে। তবে এদিকে বাংলার মধ্যে রাস্তা ঠিক আছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে এদিকেও প্রভাব পড়তে পারে।
অন্যদিকে, হিমালয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘সিকিমের বেশ কয়েক জায়গায় বৃষ্টিতে ধস পড়েছে। রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত। তবে পর্যটকদের আটকে থাকার খবর নেই। আমরা সমস্ত খোঁজ নিচ্ছি। সিকিম প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার থেকেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে রাস্তা থেকে মাটি-পাথর সরানোর কাজ শুরু করছে পূর্ত দফতরের ন্যাশনাল ডিভিশন। রাস্তায় কয়েকটি জায়গায় ওয়ানওয়ে করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী পর্যটকদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। সিংটাম থেকে গ্যাংটকে চলাচল করতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে গাড়িতে। এর জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককেই। লাভা-গরুমারা রুটে যান চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।
গত সোমবার দক্ষিণ সিকিমের মাজুয়া এলাকায় ভয়াবহ ধস নামে। সেদিনের ঘটনায় 3 জন প্রাণ হারান৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িও ৷ এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর সিকিমের সিংথামের শান্তিনগর এলাকায় মঙ্গলবার নতুন করে ধস নেমেছে। যে ঘটনায় 10 নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ সিকিমের একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়৷ সিংটাম, গ্যাংটকগামী আরও বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে রাস্তায়। সিংটামের কাছে জাতীয় সড়কে ধস নেমে দু’ধারে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।