বিরোধী দলনেতা বৈঠকে না থাকলেও দিলীপ ঘোষ, শান্তনু ঠাকুর, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল সহ এবারে ভোটে বিজেপির প্রার্থী হওয়া একদল নেতা-নেত্রী বৈঠকে ছিলেন। এছাড়া মঙ্গল পাণ্ডে সহ বঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, আশা লাকড়াও ছিলেন এদিনের বৈঠকে।
লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি প্রত্যাশিত ফল করতে না পারায় রাজ্য নেতাদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। এই ফলের দায় কার, তা নিয়ে শুভেন্দু বনাম দিলীপের অনুগামীদের ফেসবুক যুদ্ধ এখনও চলছে। এমন পরিস্থিতিতে কোর কমিটির বৈঠকে লোকসভার রেজাল্ট সংক্রান্ত কোনও আলোচনার রাস্তাতেই হাঁটেনি বঙ্গ বিজেপি। বৈঠক শুরু হওয়ার অনেক পরে ঢোকেন দিলীপ। আর বৈঠক থেকে সবার আগে বেরিয়ে যান সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
কোর কমিটির বৈঠকের পরে সুকান্ত বলেন, ‘আসন্ন উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মিটিং চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মিটিং শেষ হওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে।’ এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে কোচবিহারে শুভেন্দু বলেন, ‘অমিত শাহ আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আক্রান্তদের পাশে আগে থাকতে হবে। কোর কমিটির ১৮ জনের মধ্যে দুজন এখানে (কোচবিহার) রয়েছেন। ওখানে যে সিদ্ধান্ত হবে তা আমরা পূর্ণ সমর্থন করব। আমি গিয়ে (প্রস্তাবে) সই করে দেব।’
প্রশ্ন উঠেছে, লোকসভা ভোটের পরে কোর কমিটির প্রথম বৈঠকে কেন নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কোনও ময়নাতদন্ত হলো না? মিটিংয়ের পরে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিষয়ে অল্প সময়ে আলোচনা হয় না। ভবিষ্যতে আলোচনা হবে।’ যদিও তা কবে হবে, তার কোনও আভাস বৈঠকে মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য-রা দেননি।
এ দিনের বৈঠকে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য মোট ১২ জন প্রার্থীর খসড়া তালিকা তৈরি করেছে বঙ্গ বিজেপি। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য তিনজন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই তালিকা থেকে চূড়ান্ত নাম বেছে নেবেন। অগ্নিমিত্রা পালের কথায়, ‘প্রার্থীদের নাম দিল্লিতে পাঠানো হবে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।’