স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই তড়িঘড়ি বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বাচ্চাটির পরিবারের লোককে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। সেখান থেকে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সকাল ৮ টা নাগাদ বাচ্চাটিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা পরে চিকিৎসকরা বাচ্চাটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়ার বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের মুড়াকাটা এলাকায়। ঠিক কি কারণে এই মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। শোকের ছায়া বাচ্চাটির পরিবারে।
বাচ্চাটির পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘ সকালে ও নিয়মমাফিক স্কুলে যায়। সাইকেলে করে স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু স্কুলে প্রার্থনা করার সময় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। কী করে এরকম হল বুঝতে পারছি না। ডাক্তাররা বলছেন স্ট্রোক হয়ে মারা গিয়েছে। সার্টিফিকেট বা দিকে বলতে পারছি না।’ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাচ্চাটির দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ গরমের ছুটির পর অবশেষে রাজ্যের স্কুলগুলো গত সপ্তাহ থেকে চালু করা হয়েছে। যদিও, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় এখনও পর্যন্ত তীব্র গরম রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত বর্ষা প্রবেশ করেনি। গরমে নাজেহাল অবস্থা বয়স্ক থেকে বাচ্চা সকলেরই। গরমের কারণেই কি বাচ্চাটির এরকম অবস্থা হল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।