কী ভাবে ঘটল ঘটনাটি?
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। বাবার সঙ্গে নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল সে। সেই সময়ই এই বিপত্তি ঘটে। নাবালকে টেনে নিয়ে যায় নদীতে। বিষয়টি নজরে আসার পরেই এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। তড়িঘড়ি খবর যায় প্রশাসনের কাছে। তারপরেই ওই নাবালকের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। DFO মিলন মণ্ডল জানান, তাঁরা বিকেল ৪টে নাগাদ খবর পান। জানার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদফতরের কর্মীরা। যদিও নদীর পাড় থেকে নাবালককে কুমিরের টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও চিহ্ন তাঁরা পাননি বলেই জানিয়েছেন ডিএফও। নাবালকের খোঁজ তল্লাশি চালান হচ্ছে। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় আপাতত তল্লাশি অভিযান বন্ধ আছে। মঙ্গলবার সকালে ফের তল্লাশি শুরু হবে বলে জানান তিনি।
অতীতেও ঘটেছে এমন ঘটনা
উল্লেখ্য, অতীতেও পাথরপ্রতিমা এলাকায় ঘটে গিয়েছে এমনই এক ঘটনা। ২০২০ সালের এই জুন মাসেই পাথরপ্রতিমা ব্লকের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জগদ্দল নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বিষ্ণুপ্রসাদ সাঁতরা নামে এক মৎস্যজীব। নদীতে জাল ফেলার সময়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। কুমীরে টেনে নিয়ে যায় তাঁকে। বিষ্ণুপ্রসাদের চিৎকার শুনে আশেপাশে থাকা মৎস্যজীবীরা তাঁকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যান। তবে তারপরেও রক্ষা করা সম্ভব নয়নি।
এদিকে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিয়ো ঘিরে কলকাতার গঙ্গায় কুমিরের আতঙ্ক ছড়ায়। সেই ভিডিয়োকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টি প্রশাসনেরও নজরে । তারপরেই প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশও এই নিয়ে কড়া নজরদারি চালায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বন দফতরের ওয়াইল্ডলাইফ বিভাগের রেঞ্জ অফিসার মনোজ যশ অবশ্য জানান, গঙ্গায় কুমির দেখা যায়নি। হয়তো প্রাণীটি ঘড়িয়াল হতে পারে।