রবিবার রাতেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তখন কোনও নার্সকে ডেকেও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ বাড়ির লোকের। মৃতার শাশুড়ি মিনতি দাস বলেন, ‘বৌমার জ্বর বেড়েছিল। মুখ দিয়ে ফেনা বেরোচ্ছিল। পাঁচ থেকে ছয় বার নার্স দিদিদের ডাকতে গিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি। মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কোনও ডাক্তারও আসেননি। এরপরেই বৌমা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। রবিবার রাতেই মারা যায়। চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই আমার বৌমার মৃত্যু হয়েছে।’
সোমবার সকাল থেকে এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকজন। আরামবাগ হাসপাতালের অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। আরামাবগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। শুনলাম রোগীর পরিবার সিস্টারদের বারবার ডেকেছিলেন। কিন্তু তাঁরা রেসপন্স করেননি। রাতে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করব। তদন্তে হবে। এমন ঘটনা কাম্য নয়। যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তবে সরকারি নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, ‘ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা হাসপাতালের অধ্যক্ষকে বলব। আমরা চাই প্রত্যেকেই হাসপাতাল থেকে ভালো পরিষেবা পাক। সকলকে বলব আপনারা নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করুন এবং যাঁরা অসুস্থ তাঁদের সুস্থ করে তুলুন।’
আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু শুনিনি। তবে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যথেষ্ট ভালো পরিষেবা পাওয়া যায়। এখন অনেক উন্নত। আমি খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলব।’