এই সময়: সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে দাবি করছেন, আরজি করের ঘটনায় জাস্টিস যতক্ষণ না হবে, ততক্ষণ নাকি যৌনকর্মীরা নিজেদের দুয়ারের মাটি দুর্গাপুজোর জন্যে দেবেন না। যদিও যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার পরিষ্কার জানাল, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যৌনকর্মীরা মাটি সত্যিই দেন না। তার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ।বৃহস্পতিবার দুর্বারের মেন্টর ভারতী দে এক বিবৃতিতে জানান, ২০১৩ সালে দুর্বারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ড: স্মরজিৎ জানা জীবিত থাকাকালীনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পুজোয় কোনও মাটি সোনাগাছির মহিলারা দেবেন না। কেন? ভারতীর কথায়, ‘আমরা মাটি দিই। তা দিয়ে প্রতিমা গড়া হয়। কিন্তু তার পরেও আমরা দেখছিলাম যৌনকর্মীদের কোনও মান রাখা হচ্ছে না। পুজো থেকে তাঁরা ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছেন। এমনকী পুজোর অঞ্জলিও দিতে দেওয়া হচ্ছিল না।’
ভারতীর দাবি, এর পরেই মাটি দেওয়া বন্ধ করা হয়। ইতিমধ্যেই আরজি করের ঘটনায় বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সোনাগাছির মহিলারা। যৌনকর্মীদের অনেকে প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন, যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপনে এত ইচ্ছেই থাকে তা হলে তাঁদের কাছে যেতে। কিন্তু কাউকে যেন ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থা না করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের এই দাবিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেক নেট নাগরিক।
ভারতীর দাবি, এর পরেই মাটি দেওয়া বন্ধ করা হয়। ইতিমধ্যেই আরজি করের ঘটনায় বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সোনাগাছির মহিলারা। যৌনকর্মীদের অনেকে প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন, যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপনে এত ইচ্ছেই থাকে তা হলে তাঁদের কাছে যেতে। কিন্তু কাউকে যেন ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থা না করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের এই দাবিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেক নেট নাগরিক।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েক দিন ধরে ছড়াচ্ছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া দুর্গাপুজোর অনুদান নেবে না অনেক ক্লাব। এরই মধ্যে কলকাতা শহরের দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সংগঠন সেই দাবি খারিজ করেছে। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের দেওয়া সেই অনুদানের টাকা খরচ হবে মহিলাদের নিরাপত্তার কাজেই।
পরিকল্পনা করা হয়েছে মহিলাদের জন্য সেফটি কিট বিলি করা। সেই কিটে থাকবে একটা টর্চ, একটা পেপার স্প্রে, একটা মেটাল স্টিক এবং একটা হুইসল। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হবে গোটা এলাকা।