ফলে এই মামলার তদন্তে ইডি বেশ অস্বস্তিতে পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে তদন্তকারী এজেন্সি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কি না, সে দিকেও নজর রয়েছে আইনজীবী মহলের।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রেশনের মালপত্র চুরি এবং আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হলেও ইডি তাঁদের বিরুদ্ধে চুরির কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন বাকিবুর রহমানদের আইনজীবী জাকির হোসেন। পাশাপাশি শঙ্কর আঢ্য ও বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তাঁরা রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
কিন্তু ইডি তাদের তদন্তে এর সপক্ষেও কোনও জোরালো প্রমাণ দিতে পারেনি বলে দাবি আইনজীবীদের। এমনকী রেশন দুর্নীতির টাকা যে তাদের কাছে গিয়েছে, তার কোনও প্রমাণ নেই বলে তাঁদের দাবি।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এসএসকেএম হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁর মেয়ের কাছ থেকে পাওয়া একটি চিরকুটের সূত্র ধরে ইডি বিশ্বজিৎ ও শঙ্করের বাড়িতে হানা দেয়। আইনজীবীদের একাংশের দাবি, পরে ওই চিরকুটকে আর ইডি প্রামাণ্য নথি হিসেবে আদালতে দেখাতে পারেনি। সেটাও জামিনের ক্ষেত্রে একটা বড় যুক্তি বলে দাবি আইনজীবীদের। এই মামলায় ইডির তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।
আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, সম্প্রতি একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মৌখিক পর্যবেক্ষণে নিম্ন আদালতগুলি জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ে গা বাঁচানোর চেষ্টা করে দায় এড়ায় বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ দিন রেশন মামলায় ইডির বিশেষ আদালত তিন অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করার পরে শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্য নিয়েও জল্পনা রয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে।