এই সময়: স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে হামলার পরিকল্পনার অডিয়ো (যার সত্যতা ‘এই সময়’ যাচাই করেনি) হাতিয়ার করে বিধাননগর পুলিশ সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়েছে। কিন্তু সিপিএমের প্রশ্ন, বিধাননগর পুলিশ যদি নিজস্ব সূত্রে এই অডিয়ো পেয়ে এফআইআর রুজু করে, তা হলে তা কী ভাবে কুণাল ঘোষের কাছে গেল?বিতর্কিত এই অডিয়োয় কলতানের সঙ্গে সঞ্জীব দাস নামে এক যুবকের কথোপকথন রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তদন্তকারীদের এ-ও বক্তব্য, সঞ্জীব অতিবাম মনোভাবাপন্ন। যদিও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রবিবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ একটি স্ক্রিনশট দেখিয়ে দাবি করেছেন, অতীতে সঞ্জীব তাঁর ফেসবুকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করেছিল।

ক্যাপশনে পার্থকে ‘গডফাদার’ বলেও উল্লেখ করেন (‘এই সময়’ এই স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেনি)। শতরূপ বলেন, ‘সঞ্জীব দাস নাকি অতিবাম নেতা। অথচ তিনি ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বলেছেন মাই গডফদার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো মাও সে তুং নন, কিষেণজি নন।

আসলে এক তৃণমূলকর্মীর ছেলেকে অতিবাম সাজিয়ে কলতানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ যদিও কুণাল ঘোষের দাবি, ‘কে কবে কী করেছে, তা আমরা জানি না। সঞ্জীবকে আমরা চিনি না। আগে কী করত, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখন কী করে, সেটাই বিচার্য।’

যদিও শতরূপের প্রশ্ন, ‘এফআইআর-র কপি থেকে দেখা যাচ্ছে ১৩ তারিখ দুপুর ২:১৫ মিনিটে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার কিছু পরেই কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে অডিয়ো প্রকাশ করেন। এখন কি বিধাননগর পুলিশের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ? এই অডিয়ো যদি পুলিশ নিজস্ব সূত্রে পেয়ে থাকে তা হলে তা তৃণমূলের হাতে গেল কী করে?

আদালতে আমাদের আইনজীবী এমন অনেক প্রশ্ন তুলবেন।’ সিপিএমের আরও অভিযোগ, পুলিশ কলতানকে গ্রেপ্তার করার আগেই অনেক তৃণমূলকর্মী তাঁদের ফেসবুকে ওই অডিয়ো পোস্ট করে দাবি তোলেন, অডিয়োয় কলতানের কণ্ঠস্বর রয়েছে।

অডিয়ো ক্লিপ বিতর্কে আটক ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান

যদিও কুণালের বক্তব্য, ‘সিপিএম প্রথমে বলুক, এই কণ্ঠস্বর কলতানের কি না? যাঁরা এই আলোচনায় ছিলেন, তাঁদের থেকেই অডিয়ো আমার কাছে এসেছে। পুলিশের কাছেও হয়তো গিয়েছে। সিপিএমের যাঁরা এত অডিয়ো-ভিডিয়ো নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা সুশান্ত ঘোষকে কি জিজ্ঞাসা করেন তাঁর ভিডিয়ো জাল কি না?’

কলতানের গ্রেপ্তারির সঙ্গে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেপ্তারির তুলনাও টেনেছে সিপিএম। নিরাপদকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। হাইকোর্টে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ। জামিন পেয়েছিলেন এই সিপিএম নেতা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version