এক আন্দোলনকারী ডাক্তার বলেন, ‘এগুলি তো সবই জনগণের দেওয়া। এখন কেউ যদি মনে করেন তিনি আর এ বাবদ অর্থ দেবেন না, তা হলে ধর্না স্থল থেকে নিশ্চয়ই ফ্যান, ত্রিপল খুলে নিয়ে যাওয়া হবে। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু পুলিশ এখনও সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।’
অন্যদিকে, এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের তরফে সুস্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, আমরা কোনও জিনিস তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাউকে কোনও চাপ দিইনি। আমরা জুনিয়র ডাক্তারদেরও এখান থেকে সরে যাওয়ার জন্যও কোনও চাপ দিইনি। জুনিয়র ডাক্তারদের কোনও সাহায্য প্রয়োজন হলে আমরা সাহায্যের হাত বাড়াব।’ জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ আলোচনা করেছে বলেও জানানো হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত সোমবার তাঁদের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে নবান্নে তাঁদের আরও বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক হয়। যদিও, সেই বৈঠকের কার্যবিবরণী তাঁরা হাতে পাননি বলে অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবারও তাঁরা ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের তরফে তাঁদের শেষ দাবিগুলোর একটি খসড়া পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই খসড়া এ দিন সকালে পাঠানো হয়েছে বলেও ডাক্তাররা জানিয়েছেন। সরকারের তরফে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। এরপর কর্মবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আন্দোলনরত ডাক্তাররা।