রবিবার আরজি কর কাণ্ডের ময়নাতদন্ত নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। ময়নাতদন্ত দ্রুত করার জন্য নাকি মৃত তরুণী চিকিৎসকের ‘কাকু’ পরিচয় দিয়ে একজন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তিনি নির্যাতিতার বাড়ির এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। তাঁর সম্বন্ধে কী জানালেন নির্যাতিতার বাবা?নির্যাতিতার বাবা জানান, আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না। গতকাল টেলিভিশনে এই সম্পর্কিত একটা খবর দেখছিলাম। আমরা এরকম কাউকে বলতে শুনিনি। তাছাড়া আমরা কাউকে বলার জন্য অনুমতিও দিইনি। আদালত বিষয়টি দেখবে। প্রতিবেশীর সঙ্গে যেরকম সম্পর্ক থাকা দরকার, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেরকম সম্পর্কই রয়েছে আমাদের বলে দাবি করেন তিনি।

তবে, ঘটনার দিন সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়কে ফোন করে নির্যাতিতার পরিবারের তরফেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘ওই দিন স্থানীয় বিধায়ককে আমরা ডাকেনি। তবে প্রাক্তন কাউন্সিলর সোমনাথ দে’কে আমরা ফোন করে ডেকেছিলাম। সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়কেও ডেকেছিলাম আমার সঙ্গে যাওয়ার জন্য। তবে সেদিন বিধায়ক নির্মল ঘোষ হাসপাতালে ছিলেন। তখন একবার দেখা হয়েছিল। পরে শ্মশানঘাটেও ছিলেন।’

RG Kar Protest: হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের

অন্যদিকে, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে এদিন ডেকে পাঠায় সিবিআই। তাঁকে প্রায় ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘সিবিআই যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করছে, সেভাবেই ডাকছে। আমরা সিবিআই এর উপরে ভরসা রাখছি।’

আরজি করে তৃণমূলের আন্দোলনকে সমর্থন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের
নির্যাতিতার বাবা আরও বলেন ‘সেদিন আমাদের সকালে তাড়াহুড়ো ছিল, কিন্তু বিকেলবেলায় সেই তাড়াহুড়ো ছিল না। তাছাড়া আমরা আমাদের মেয়েকে দেখতে পারছিলাম না। কিন্তু পুলিশ বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। একটা কথা সত্যি যে, সেদিনকে আমার মেয়েকে ভিআইপি’র মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেদিন শ্মশানে গিয়ে দেখি মেয়েকে চিতায় শুয়েও দেওয়া হয়েছিল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version