আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ অগস্ট সদীপ ঘোষ-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। টেন্ডার দুর্নীতি থেকে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আরজি কর হাসপাতালের ফুড স্টল, ক্যাফে, ক্যান্টিনের জায়গা টেন্ডার না ডেকেই বণ্টন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরবরাহকারীদের কাজের বরাত দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের জৈব বর্জ্য বেআইনিভাবে বাইরে বিক্রি করাতেও নাম জড়িয়েছে সন্দীপের। কলকাতা হাইকোর্টে এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। সেই মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।
এই মামলায় ধৃত সুমন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে এই দু’জনের সংস্থাই হাসপাতালে বিভিন্ন জিনিস সরবরাহ করতো। আফসর হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সিকিউরিটির পদে কাজ করতেন। সন্দীপের নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে থাকায় হাসপাতালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’রও অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ সোমবার রাজ্যজুড়ে ‘থানা শুদ্ধিকরণ’ কর্মসূচিতে নেমেছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। এ দিন মানিকতলায় কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থের অফিসের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঝাঁটা হাতে অভিযান করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ব্যারিকেড টপকে ডিসি নর্থের অফিসের কাছে পৌঁছে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রায় ১০০টি থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চা।