John Barla: মাদারিহাট উপনির্বাচনের আগে বিজেপিতে অস্বস্তি, তৃণমূলের পথে জন বার্লা!


প্রদ্যুত্ দাস, তপন দেব ও অরূপ বসাক: জন বার্লার লক্ষ্মীপাড়ার বাড়িতে হাজির তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ঘাসফুল শিবিরের নেতারা তাঁর বাড়িতে আসেন। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দীপেন প্রামাণিক, দলের জলপাইগুড়ি জেলা নেতা দুলাল দেবনাথ বার্লার বাড়িতে এসেছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলে সূত্রের খবর। তবে তৃণমূল নেতারা এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। ফলে মাদারিহাট উপনির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির।

আরও পড়ুন-দেশের মানুষের দারিদ্র চরমে, ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিতে ভয়ংকর এই অস্ত্র কিনছে পাকিস্তান

তৃণমূল  নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে কী বললেন বার্লা? বিজেপি নেতা বলেন, এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাত। দীপেন প্রামাণিক এক সময় বিজেপির জেলা সভাপতি ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়।’ বার্লা এমন কথা বললেও বার্লা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে একটা জল্পনা ছড়িয়েছে জেলা রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, আলোচনা চলাকালীনই ফোনে দলের রাজ্য কমিটির কোনও এক নেতার সঙ্গে বার্লার কথা হয়েছে।

২০১৯ সালে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন বার্লা। পান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদও। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। তাঁর পরিবর্তে মনোজ টিগ্গাকে প্রার্থী করে বিজেপি। এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই বিজেপি নেতৃত্বর সঙ্গে তাঁর কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে জল্পনা রয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও তা প্রকাশ্যে তিনি কখনও স্বীকার করেননি। তবে মনোজ ও বার্লার মাঝে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা একবাক্যে মানছেন বিজেপির একাংশ নেতা। কয়েকদিন আগে বারলার বাড়িতে এসেছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তারপরও তাঁকে মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে দেখা যায়নি। তাহলে কি বারলা এবার ঘাসফুলে নাম লেখাবেন? এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আগামী ১৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এনিয়ে জন বার্লা নাম না করে মনোজ টিগ্গার উদ্দেশ্যে  বলেন,  এখানে ওয়ান ম্যান আর্মি হিসেবে চলছে কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে। মাদারিহাট উপ-নির্বাচনে আমার দুদিকে দুই ভাই, একদিকে গোর্খা ও অ্যন্যদিকে আদিবাসী। আমি ময়দানে নামলে গোর্খা আদিবাসীরা রাগ করবে। ২৬-এ নির্বাচন আছে। ওদেরকে যদি খেপিয়ে দিই তাহলে ওরা আমাদের কিভাবে ভোট দেবে?
যার জন্য নির্দল প্রার্থী এখানে দাঁড়ালো আমারই ভাই এরা বিজেপির কার্যকর্তা।

এদিকে, জন বার্লা একদিকে বলছেন না যে তৃণমূলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে তিনি বলছেনও না যে তিনি বিজেপিতে রয়েছেন। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের হাত ধরে তার রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি হয়েছিল। আগামী দিনে আদিবাসী বিকাশ পরিষদকে নিয়ে তিনি এগিয়ে যেতে চান। তবে মনোজ টিগ্গাকে নিশানা করে বলেন ওয়ান ম্যান আর্মি হিসেবে তিনি দল চালাচ্ছেন। তবে আপাতত তিনি নিউট্রাল রয়েছেন। দল বতল নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি। আদিবাসীদের নিয়ে আন্দোলন করব।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *