অয়ন ঘোষাল: উত্সবের মরসুমে ফের অ্যাকশনে ইডি। সাতসকালে কলকাতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের হানা। জোড়া মামলায় ED-র ম্যারাথন তল্লাশি। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়সড় তল্লাশি অভিযান। নাগেরবাজারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী দীপক কুমার দে, যিনি নামী বেসরকারি স্কুলের (জিডি গোয়েঙ্কা) কর্ণধার। এবং দক্ষিণ দমদম পৌরসভার কাউন্সিলর নিতাই দত্তের বাড়িতে ইডি। সঙ্গে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসেও চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন:Varinder singh ghuman Death: মাত্র ৪১-এই সব শেষ! প্রয়াত জনপ্রিয় বডিবিল্ডার, সলমান খানের সহ-অভিনেতা…
নিতাই দত্ত ২০২১ সালে সুজিত বসু দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর আপ্ত সহায়ক ছিলেন। সেই সময় দক্ষিণ দমদম পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন পাঁচু রায়। সেই যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে নিতাই দত্ত, যিনি এখন দক্ষিণ দমদম পৌরসভার কাউন্সিলর, তিনি সেই সময় কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও ভাইকে। এমন দাবি ইডি সূত্রে। এর আগে তার এই বাড়িতেই পুরনিয়োগ সংক্রান্ত ৭ পাতার নথি উদ্ধার হয়েছিল।
এর পাশাপাশি সঞ্জয় কুমার পোদ্দার, পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট তাঁর বাড়িতেও ইডির হানা। তিনি সুজিত বসুর অডিটর। ইডির তল্লাশি নিয়ে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘ওরা প্রত্যেকবারই এরকম করে যখন ইলেকশন আসে যারা বিশেষ করে পার্টিতে কাজ করে তাদের বাড়ি অফিস সব জায়গায় যায়। আমার রেস্টুরেন্টে গেছে। এর আগেও রেড করেছে, আমার বাড়িতে হচ্ছে নিতাইয়ের বাড়িতেও গেছে কিছু তো পাইনি ওরা তারপরও আবার ইডি আসছে। এটা মনে হয় টার্গেট করছে এই জায়গাটা বিশ্বাস করে এই জায়গায় ওদের লোকজন কিছু নেই। রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ হচ্ছে। ওদের কাজ ওরা করুক, আমাদের কাজ আমরা করব। দুর্নীতির অনেক কিছু বলেছে প্রমাণ থাকতে হবে। এখানকার মানুষ জানে। আমার সার্টিফিকেট এখানকার মানুষ।’
উল্লেখ্য, ১৮০০টির বেশি পুরসভা নিয়োগের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। যে নিয়োগ গুলি দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ। পুরসভার নিয়োগের তদন্তে নেমে আপাতত এই হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যে পুরসভা গুলিতে নিয়োগে দুর্নীতি হয় তার মধ্যে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার নাম রয়েছে, সূত্র ইডি
আরও পড়ুন:Bengal Weather Update: শীতের আগেই আসছে ঘূর্ণিঝড়! দুর্যোগের দাপট বাংলায়, আবহাওয়ার বড় আপডেট…
অন্যদিকে, এদিনই গণেশ জুয়েলারি সংস্থার ১২০০ কোটি টাকার ব্যাংক প্রতারণা মামলার তদন্তে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি। ভুয়ো কোম্পানি খুলে ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। ২৫টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ ED-র। জুয়েলারি সংস্থার কর্তা ও কর্মী এবং ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে অভিযান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। অভিযান গিরিশ পার্কে, শরৎ বসু রোডে, নিউ আলিপুরে।
এই মামলায় তদন্তকারীদের নজরে কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবীও। জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। অমিত আগারওয়াল হাইকোর্টের আইনজীবী। তাঁর নিউ আলিপুরের বাড়িতে ইডি তল্লাশি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
