জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আগের বছরের মতো এ বছরও একটিও বাংলাদেশি ছবি নির্বাচিত হয়নি। ২০২৩ পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর বাংলাদেশি সিনেমা উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে জায়গা করে নিলেও, এবার উত্তীর্ণ হতে পারেনি। 

Add Zee News as a Preferred Source

এবারের কেআইএফএফ-এ মোট ৩৯টি দেশ থেকে ২১৫টি ছবি প্রদর্শিত হবে। তালিকায় রয়েছে গুয়াতেমালা, প্যালেস্টাইন, কাজাখাস্তান, সৌদি আরব, কিউবা, সুদান, মিশর, আর্মেনিয়া, মরোক্কোর এবং ইরাকের মতো দেশ, কিন্তু নেই প্রতিবেশী বাংলাদেশের নাম।

আরও পড়ুন: উদ্বোধনে বড় চমক! জেনে নিন ৩১ -তম কলকাতা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উত্‍সবের খুঁটিনাটি…

গত বছর ৩০তম কেআইএফএফ-এর চেয়ারম্যান ছিলেন পরিচালক গৌতম ঘোষ। তখনই তিনি এক সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছিলেন, ‘এ বছর কোনো বাংলাদেশি ছবি প্রতিযোগিতায় নেই। অনেক কিছুই এখন আটকে আছে। আশা করি আগামী বছর পরিস্থিতি বদলাবে।’ কিন্তু ২০২৫ সালেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

এ বছর উৎসবের সূচি প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, কোনো বিভাগেই বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের উপস্থিতি নেই। অথচ বাংলাদেশি পরিচালক থানবীর চৌধুরীর ‘কাফারা’ এই বছর আন্তর্জাতিক বিভাগে জমা পড়েছিল। কেআইএফএফ কর্তৃপক্ষ মেল মারফত ছবির জমা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও, শেষ পর্যন্ত সেটি নির্বাচিত হয়নি।

৬৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের সাদা-কালো ‘কাফারা’ ছবিটি এক স্থানীয় ইমামের অপরাধবোধ ও তার স্ত্রীর মানসিক সংগ্রামের কাহিনি নিয়ে নির্মিত। সিনেমাটির চিত্রগ্রাহক ছিলেন বর্কত হোসেন পলাশ, যিনি শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘ডিয়ার মালতী’-তেও কাজ করেছিলেন। সেই ছবিটিও ৩০তম কেআইএফএফ-এ জমা পড়লেও নির্বাচিত হয়নি। তবে ‘ডিয়ার মালতী’ পরে গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (IFFI)-এ প্রদর্শিত হয়।

ঢাকা থেকে পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্ত বলেছেন, চলচ্চিত্র উৎসবের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ছবির বিষয়বস্তু ও কারিগরি দিককে মূল্যায়ন করা, অন্য কোনও বিবেচনা নয়। তিনি জানান, ‘আমরা জানতে চাই, কেন আমাদের সিনেমাগুলি কেআইএফএফ-এ আর জায়গা পাচ্ছে না। সাংস্কৃতিক বিনিময় সক্রিয় ও অবাধ রাখা জরুরি।’

আরও পড়ুন: নির্মমতার বিরুদ্ধে রুদ্রজিতের প্রতিবাদ! কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রতিযোগিতায় ‘পিঞ্জর’…

২০২২ সালের ২৮তম কেআইএফএফ-এ মুহম্মদ কায়ূমের ‘কুড়া পক্ষীর শূণ্যে উড়া’ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা ছবির জন্য গোল্ডেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল। সেই সাফল্যের পরও পরবর্তী দু’বছরে কোনও বাংলাদেশি ছবি নির্বাচিত না হওয়ায় হতাশ কায়ূম। তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি কেআইএফএফ বাংলা সিনেমাকে উৎসাহ না দেয়, তাহলে কে দেবে? এটা কি ছবির মানের জন্য, নাকি ভারত-বাংলাদেশের টানাপোড়েনের কারণে এটাই ভাবার বিষয়।’

কলকাতার অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব হিসেবে কেআইএফএফ বরাবরই দুই বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির মিলনস্থল ছিল। তাই ২০২৫ সালের সংস্করণে বাংলাদেশি ছবির অনুপস্থিতি অনেকের কাছেই বেদনাদায়ক এবং উদ্বেগজনক বার্তা বহন করছে বলে মনে করছেন দর্শক।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version