১৯০০ কোটি তো ছাড়! ১ টাকাও পায়নি করিশ্মার ছেলে-মেয়ে, ৬০০০ কোটি লুকিয়ে বিদেশে পাচার করেছে প্রিয়া? আদালতে বিস্ফোরক সঞ্জয়ের মা…


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত জুনে প্রয়াত হয়েছেন শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুর (Sunjay Kapur), যিনি করিশ্মা কাপুরের (Karisma Kapoor) প্রাক্তন ও অভিনেত্রীর দুই সন্তানের বাবা। সঞ্জয়ের সম্পত্তির অধিকার নিয়ে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়া সচদেব কাপুরের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শিল্পপতির মা রানি কাপুর। করিশ্মা কাপুরের সন্তানরা যখন প্রিয়ার বিরুদ্ধে উইল জাল করার অভিযোগ এনেছে, তখন রানি কাপুর (Rani Kapur) প্রিয়ার বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের বিপুল পরিমাণ সম্পদ লুকিয়ে রাখা এবং এমনকি তা বিদেশে পাচার করার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন- Samantha-Raj Wedding: সামান্থা নয়! রাজ এখনও শ্যামলীর সঙ্গেই বিবাহিত? নয়া পোস্ট ঘিরে শুরু বিতর্ক…

দিল্লি হাইকোর্টে চলা শুনানিতে রানি কাপুরের আইনজীবীরা প্রিয়া সচদেব কাপুরের বিরুদ্ধে যেসব মূল অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলি হল-

১. ‘৬০ কোটি টাকা বেতন, অ্যাকাউন্টে দেখালেন মাত্র ১.৭ কোটি টাকা’

রানি কাপুরের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেছেন যে, প্রিয়া সচদেব কাপুর সঞ্জয়ের সম্পদের সঠিক মূল্য গোপন করেছেন। তাদের বক্তব্য, সঞ্জয়ের বার্ষিক বেতন ছিল ৬০ কোটি টাকা। বিলাসবহুল সম্পদ ছাড়াও, তাঁর ৬৫০ কোটি টাকা মূল্যের সোনা কমস্টার-এ ৬.৫% অংশীদারিত্ব ছিল। কিন্তু আইনজীবী বৈভব গাগ্গর আদালতে জানান, প্রিয়া তাঁর দাখিল করা নথিতে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১.৭ কোটি টাকা দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিশাল তথ্য গোপন করা হয়েছে। এই বাড়িটি (দিল্লির রাজোকরি এলাকার ফার্মহাউস) আমার প্রয়াত স্বামী তৈরি করেছেন। সেখানে ৫০টিরও বেশি শিল্পকর্ম রয়েছে…সঞ্জয় কাপুরের কোনো জীবন বিমা নেই, ভাড়া বাবদ আয় নেই, মিউচুয়াল ফান্ড নেই? তাঁর বেতন ছিল ৬০ কোটি টাকা, আর আমরা বলছি যে তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ১.৭ কোটি টাকা আছে!”

২. বিদেশে অর্থ পাচার করার অভিযোগ

রানি কাপুরের আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন যে, প্রিয়া সচদেব অর্থ দেশের বাইরে পাচার করেছেন। আইনজীবী আদালতকে বলেন, “ম্যাডাম, আপনি শুধু মিস্টার কাপুর নন, ১ নম্বর অভিযুক্তের প্রিয়া কাপুরের গত দুই বছরের হিসাব চাইতেই পারেন, কারণ টাকা বিদেশে সরানো হয়েছে। অর্থ যেহেতু সীমান্তের ওপারে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, তাই স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেওয়া উচিত।”

আরও পড়ুন- Jaya Bachchan on Marriage: ‘অমিতাভ হয়তো ভাবে যে বিয়ে করে ভুল করেছে কিন্তু আমি ৫২ বছর ধরে…’, বিস্ফোরক জয়া!

৩. উইল-এ মায়ের উল্লেখ নেই: ‘উইলের বিষয়ে জানানো হয়নি’

রানি কাপুরের কৌঁসুলি আদালতে সন্দেহ প্রকাশ করে জানান যে, সঞ্জয় কাপুরের এই উইল সম্পর্কে রানিকে কিছু জানানো হয়নি এবং পুরো সম্পত্তি প্রিয়াকে দিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও সন্দেহজনক। তিনি বলেন, “সঞ্জয় যদি সত্যিই আমাকে বাদ দিতে চাইতেন, তবে তা সুস্পষ্টভাবে বলতেন।” আইনজীবী আরও জানান যে, সোনা কমস্টার সংস্থাটি রানি কাপুরের স্বামী এবং সঞ্জয়ের বাবা সুরিন্দর কাপুর তৈরি করেছিলেন। তা সত্ত্বেও উইলে রানির নাম একবারও উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, “আজ ৮০ বছর বয়সী একজন মানুষকে বলা হচ্ছে যে উইলে তাঁর নাম একবারও উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর স্বামীর তৈরি কোম্পানিতে তাঁর কোনো মালিকানা নেই, যা তাঁর জন্য রেখে যাওয়া হয়েছিল।”

৪. ‘প্রিয়া সাক্ষী সাজিয়েছেন’ এবং তড়িঘড়ি পরিচালকের পদবদল

রানি কাপুর অভিযোগ করেন যে, সঞ্জয়ের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রিয়া তাঁর সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, সঞ্জয়ের মৃত্যুর একদিন পরই দীনেশ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তিকে ‘অরিয়ুস’ কোম্পানির পরিচালক পদে নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ করা হয়, এই দীনেশ আগরওয়াল—যিনি বিতর্কিত উইলের একজন সাক্ষীও—তিনি প্রিয়ার “নির্দেশে” কাজ করেন।

আরও পড়ুন- Hema Malini on Dharmendra’s Funeral: ধর্মেন্দ্রের শেষ দিনগুলি ছিল ‘যন্ত্রণাদায়ক’! কেন গোপন রাখা হল শেষকৃত্য? হেমা মালিনী বললেন…

৫. ‘বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে সব তাঁর নামে?’

গত সেপ্টেম্বরের শুনানিতে রানি কাপুর এই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, সঞ্জয় কীভাবে তাঁদের বিয়ের তিন মাসের মধ্যে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি প্রিয়ার নামে করে দিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তাঁর (প্রিয়ার) স্বার্থ ট্রাস্টের মধ্যে ঢুকে গেল। সব চলে গেল। আমি কোথাও নেই। মিস সচদেব এলেন, তাঁর বিয়ের তিন মাসের মধ্যে সব সম্পত্তি তাঁর হয়ে গেল? আজ আমার ছেলে আমাকে আশ্রয়হীন করে দিয়ে গেল? আমি রানি কাপুর।”

৬. করিশ্মার সন্তানদের ১,৯০০ কোটি টাকার শেয়ার: ‘উইল-এ সামঞ্জস্যতা ভুল’

রানি কাপুরের আইনজীবী আদালতে জানান যে, করিশ্মা কাপুরের সন্তানরা আর.কে. ট্রাস্ট থেকে ১,৯০০ কোটি টাকার শেয়ার পাওয়ায়, সঞ্জয়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে তাঁরা কিছু পাচ্ছে না। রানি সেই পারিবারিক ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা। আইনজীবী জানান, “এখান থেকে (ট্রাস্ট থেকে) উইল করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না… তাই উইল-এ সামঞ্জস্যতা আছে বলাটা ভুল… আইনে তিনি তা দিতে পারতেন না, আর তিনি দেনওনি… ১,৯০০ কোটি টাকার শেয়ার হস্তান্তর করার বিষয়টি মিস সচদেব (প্রিয়া) দিতে পারতেন না, সঞ্জয়ও দিতে পারতেন না… আমি এই ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং একমাত্র দায়িত্ব আমার।”

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *