তবে অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের চিকিৎসক সেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও শাসক দলের চিকিৎসক মহলের একাংশই তাঁর দাবি মানতে নারাজ। এর আগেও একাধিক ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জমা পড়েছে বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য অনেক আগেই। যিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ নম্বর ব্লকের শক্তিপুর ব্লক হাসপাতালের জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার (জিডিএমও) অনুপম মণ্ডল।
তাঁর অভিযোগ, বছর খানেক আগে তাঁকে সুবিধেজনক জায়গায় বদলি করিয়ে দেবেন বলে তাঁর কাছ থেকে দু’দফায় ৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন বিরূপাক্ষ। কিন্তু অনুপমের বদলি তো হয়ইনি, উল্টে টাকাও ফেরত দেননি অভিযুক্ত। অনুপমের আরও অভিযোগ, বিরূপাক্ষ দাবি করতেন, তিনি শাসক দলের এক চিকিৎসক-বিধায়ক এবং উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘনিষ্ঠ। এই সব অভিযোগ লিখিত ভাবে অনুপম জানান ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ-কে। এর পরেই আইএমএ-এর তরফে রাজ্য সভাপতি নির্মল মাজি ও রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য।
নির্মল বলেন, ‘ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ এসেছিল। এ বারও অভিযোগ এসেছে। তাই, তদন্তের জন্য পদক্ষেপ করতে পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’ শান্তনুর কথায়, ‘আইএমএ দেশের বৃহত্তম চিকিৎসক সংগঠন। ওই সংগঠনের কাছে কোনও চিকিৎসক অভিযোগ জানালে তার বিহিত করা আইএমএ-র কাজ। তাই, ডিজি-র কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’
অভিযুক্ত বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য টাকা তোলার অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘অনুপম আমার ভাইয়ের মতো। ওঁর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। একবার ৫ হাজার, আর একবার তিন হাজার টাকা নিয়েছিলাম ওঁর থেকে ধার হিসেবে। তার মধ্যে ৫ হাজার টাকা পরে ফিরিয়েও দিই। এখন কেন এমন অভিযোগ উঠছে, তা বুঝতে পারছি না।’ বিরূপাক্ষর দাবি, এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।