দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যারা প্রচার করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আগেই কড়া সুর শোনা গিয়েছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের গলায়। আর ভোট ফুরোতেই এবার পদক্ষেপের কথা শোনা গেলো মহুয়ার গলায়। এদিন তিনি বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের অন্দরেই কিছু গদ্দার বিরোধীদের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল। ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি সেরে কলকাতা থেকে ফিরেই আমরা ভোটে হারের কারণ নিয়ে ব্লক ও বুথ স্তরে বিশ্লেষণ করব। প্রত্যেক বুথ সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিরা তাতে থাকবেন। গদ্দারদের তালিকা তৈরি হবে এবং দল থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হবে। কারণ দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।’
জেলায় ৮০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৯ টি জেলা পরিষদের ৯ টি এবং পঞ্চায়েত সমিতির ২৪ টি আসনই নিজেদের দখলে রাখতে পেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল শিবির। ভোটের সময় যারা বিরোধীদের সুবিধা করে দিতে নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা সভানেত্রী।
যদিও ভোটের আগে এমন কথা বলেও নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিলেও, এবার দল ভালো ফল করার পরেই ফের হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা সভানেত্রী।
তাঁর কথায়, ‘ভোট মিটে গিয়েছে। এবার আমরা কড়া পদক্ষেপ নেব।’ দলের নির্দেশ থাকলেও ভোটের আগে কাউকে চটাতে চাননি জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভানেত্রী, সূত্রের খবর এমনটাই। ভাল ফল হতেই এবার পদক্ষেপ গ্রহনের বার্তা দিয়েছেন মহুয়া গোপ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যের মতো জলপাইগুড়ি জেলাতেও পঞ্চায়েতের সব স্তরে ‘গোঁজ’ প্রার্থী দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল টিকিট না পাওয়া তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই কারণে নির্বাচনের আগে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটেও ছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু ভোটের পরে দেখা যায়, জনমত শাসক দলের পক্ষেই গিয়েছে। এবারই তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার আসল সময়, মনে করছেন দলের জেলা নেতৃত্ব।