আগামীকাল, ধর্মতলায় বৃহত্তর সমাবেশের লক্ষ্য নিয়ে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েক লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশ ঘটবে বলে আশা করছে তাঁরা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে অন্যান্য জেলা থেকেও কর্মী, সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন কলকাতায়। কলকাতায় যে সমস্ত জায়গায় কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে প্রায় ঠাসা সমর্থকদের ভিড় ইতিমধ্যেই।
মণিপুরের ঘটনা নিয়েও এদিন সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার পর দেশে এরকম ঘটনা লক্ষ্য কর যায়নি বলে তাঁর মত। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এ ধরনের ঘটনার কারণে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। এমনকি তাঁর মত, বিজেপি রাজ্যে একাধিক অশান্তির ঘটনার উদাহরণ টানলেও গত ১১ বছর রাজ্যে নেতাই, সাঁইবারি হত্যাকাণ্ড, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের মতো ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে, যেমন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর কর্মী সমাবেশ পাশাপাশি, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সম্ভবত এটিই সর্বশেষ সমাবেশ। সেক্ষেত্রে এদিনের সমাবেশ থেকেই লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের আন্দোলনের রূপরেখা বেঁধে দেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের বিষয়টি নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ বার্তা দিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
তবে আগামীকালের সমাবেশের জন্য সাধারণ যাত্রীদের যথেষ্ট ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে সমস্ত বাস উধাও। শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে সমস্ত বাস ইতিমধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে। কাল সারাদিন কলকাতা শহরের ট্রাফিকের চূড়ান্ত দুরবস্থা হবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।