প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের। গতকাল মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি সেখানে CCTV নেই, রেজিস্টার মেইনটেন হয় না, এটা অমার্জনীয় অপরাধ। শুধু আজকে নয়, এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তারা মনে করছে যে তারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে, আইনের উর্ধ্বে, এটা হতে পারে না। যাতে এইরকম ঘটনা আর না ঘটে সেই দিকে নজর থাকবে। যেহেতু ওখানে কোনও উপাচার্য নেই, তাই আচার্য-রাজ্যপাল, তাঁকেও চিঠি দিয়েছি। তাঁর কাছ থেকেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আমরাও সরেজমিনে তদন্ত করছি।’
ঘটনার তদন্ত নেমে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, যাদবপুরকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের তদন্তও চলছে। একজন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক সবসময় তদন্তের তদারকি করে চলেছেন। ছাত্রের ময়নাতদন্ত এবং ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। তদন্ত খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে আজই মৃত ছাত্রের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হল। এদিন নদিয়ায় তার বাড়তেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্তোষ্টিক্রিয়ায় বসেন ওই মৃত ছাত্রের বাবা। বৈষ্ণব মতে সমস্ত পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন করা হয়। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট বিধান মেনে ৪ দিনের মাথায় করা হল এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। এই উপলক্ষে নবদ্বীপের মায়াপুর গৌড়ীয় মঠ থেকে ভক্তিপ্রসাদ মন মহারাজ মৃত ছাত্রের শ্রাদ্ধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তার বাড়িতে যান। ইতিমধ্যেই আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৃত ছাত্রের বাবা নিজের সন্তানের পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পাশাপাশি বাড়িতে গীতাপাঠেরও আয়োজন করা হয়। অন্তোষ্টি ক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা। ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দার।