বনধ নিয়ে উত্তপ্ত খেজুরি
বনধ সফল করার জন্যই সকাল থেকে মাঠে নেমেছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে বনধের বিরোধিতায় মাঠে নেমেছে প্রশাসনও। সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে বনধ সফল করার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মনাশা বনধ ব্যর্থ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হবে। বিজেপির তরফে সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি এই বনধ ডাকা হয়েছে। বেলা বাড়লে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকে নজর থাকবে।
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি
বিজেপি নেতা রবীন মান্না গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন খেজুরিতে ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে বিজেপি নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়েছে। গ্রেফাতির প্রতিবাদে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় মারিশদা থানায় গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। থানা থেকে বেরিয়ে বনধে কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা। বনধে জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা। বনধ সফর করার জন্য বিজেপি কর্মীদের ‘ঝান্ডার নীচে ডান্ডা’ রাখার নিদান দেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর অভিযোগ, বিজেপি নেতাকে অপহরণ করেছে পুলিশ। ধৃত বিজেপি নেতার স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। এই মামলায় তিনি অনেক দূর নিয়ে যাবেন বলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা।
অন্যদিকে বনধের বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে এই ধরনের কর্মনাশা বনধ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। খেজুরির সব দোকানপাট থেকে শুরু করে বাজার, ব্যবসায়ীদের কাছে খোলা রাখার আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
কী থেকে ঘটনার সূত্রপাত?
২৩শে নভেম্বর খেজুরির বাঁশগোড়ায় তৃণমূলের সভামঞ্চ ও প্রচারগাড়ি ভাঙচুর এবং তৃণমূলকর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটে। সেই মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগেই বিজেপি নেতা রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। রবীনকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। সেই কারণে বনধ ডাকা হয়েছে।