যা বলছেন সায়ন্তন গুহ…
অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক তথা উদয়ন গুহর পুত্র সায়ন্তন গুহ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অনেক দূরে ছিলাম। আসলে উদয়ন গুহকে চাপে ফেলার জন্যই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।’ অপরদিকে বিজেপির জেলা সম্পাদক অজয় রায় বলেন, ‘পুলিশের সামনে যারা আক্রান্ত হল, তাদের নামেই অভিযোগ হল। তৃণমূলের আমলে সব সম্ভব।’
ঠিক কী ঘটেছিল?
শনিবার দুপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বরচন্দ্র দেবনাথের বাড়িতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা ওই বৈঠকের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, মণ্ডল সভাপতি-সহ দলীয় কর্মীদের প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এমনকী ধারাল অস্ত্র দিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে ও এক বিজেপি কর্মীকে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। পালটা হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধেও। পালটা হামলায় এক তৃণমূল কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার পর দু’পক্ষের আহতদের নিয়ে আসা হয় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে আহতরা দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বিজেপি মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বরচন্দ্র দেবনাথ আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহারের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগেই সায়ন্তন গুহর নাম রাখা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সম্পাদকের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ার খুব স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা কোচবিহারের রাজনৈতিকমহলে।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার। বারেবারেই ঝরেছে রক্ত। কোচবিহারে পরিস্থিতি প্রায় প্রতিদিনই উঠে আসতে থাকে সংবাদ শিরোনামে। এবার সামনে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সবপক্ষ। সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরণের ঘটনা খুব স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।