RG Kar News,আন্দোলনরত ডাক্তারদের হাতে জল-বিস্কুট, মানবিকতার সাক্ষী কলকাতা – rg kar doctors were given water food by some locals at lalbazar


বুধবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হাতে জল-বিস্কুট দিতে দেখা যায় পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের। মনুষ্যত্বের নির্দশন হয়ে ওঠে ছবিগুলি। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। আন্দোলনরত ডাক্তারদের হাতে জল-বিস্কুট তুলে দেওয়ার ছবি দেখে মতামত দিতে থাকেন নেট নাগরিকরা।সমাজমাধ্যমে যে ছবিগুলি ছড়িয়ে পড়েছে, তার মধ্যে একটিতে দেখা গিয়েছে মহম্মদ আহমেদকে। লালবাজারের কাছে যেখানে ডাক্তাররা আন্দোলন করছিলেন, সেখান থেকে অনতিদূরে দাদা’র বাড়িতে এসেছিলেন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম ওখানে বিচারের দাবিতে সকলে আন্দোলন করছে। আমি ওঁদের সামান্য সাহায্য করেছি। এরকম নৃশংস ঘটনা যাতে আর না হয়, সেটাই চাইছি আমরা। আমাকে অনেক ডাক্তাররা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু আমি বলি, এটা আমার কর্তব্য।’

আরও একটি ছবিতে দেখা যায় এক পুলিশ কর্মীকে। বউবাজার থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, তাঁর নাম সুশান্ত সরকার। বউবাজার থানার সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত তিনি। মঙ্গলবার সকালে তিনি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের চা-বিস্কুট, ফ্রুট জুস দিয়েছেন। শুধু উনি নন, বউবাজার থানা-সহ অন্যান্য বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে সেইদিন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পানীয় জল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Kolkata Police

পুলিশ কর্মীদের কয়েকজনের ‘গাফিলতি’ বা ‘অকর্মণ্যতার’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন ডাক্তাররা। কিন্তু একজনের ভুলের জন্য কি সবাইকে দোষারোপ করা যায়? ওই পুলিশ আধিকারিক জানালেন, ‘মানছি আমাদের পুলিশ অফিসারদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের হয়তো দোষ থাকতে পারে। তাই বলে কি সব পুলিশ অফিসারই খারাপ?’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা সারা বছর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আউটপোস্টে থাকি। রোগী ভর্তি নিয়ে ডাক্তার এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে প্রায়শই গোলমাল হয়। সেই সময় আমরা ঢাল হয়ে দাঁড়াই।‌ রোগীর পরিজনরা অনেক সময় ডাক্তারদের উপর মারমুখী হন বিভিন্ন কারণে।তখন তো আমরাই সামাল দিই।’

RG Kar Protest: ‘অপরাধীরা ঘুমহারা হোক’, আরজি করের প্রতিবাদ মঞ্চে নির্যাতিতার মা-বাবা
‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়ে হচ্ছে বড়’। এমন একটি স্লোগান গত কয়েকদিনে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে পাল্টা স্লোগান লেখা ছবিও শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে অনেক পুলিশ কর্মীদের। কেমন ভাবে নিচ্ছেন পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এই স্লোগানকে? পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেক পুলিশ অফিসার আছেন যাঁরা ডিউটির চাপে নিজেদের মেয়েদের নিয়ে চিন্তা করার সময় পান না। মেয়েকে সময় দিতে পারেন না। তাঁরা কী ভাবে বড় হয়ে উঠছেন আমাদের দেখারও সময় থাকে না। একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের অধিকাংশ পুলিশ অফিসাররা বা কর্মী সকল খেয়াল রাখেন। আবার বলছি, সবাই খারাপ হয় না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *