বিধানসভায় বিল পাশের পরে তা রাজভবনে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। রাজভবনের পাশাপাশি রাজ্যের তরফ থেকে ব্যতিক্রমী ভাবে এই বিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকেও পাঠানো হয়। তবে তিনি টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাননি বলে বৃহস্পতিবার বোস দাবি করার পরে শুক্রবার দুপুরেই বিধানসভা থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্টটি।
রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপালের উচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বুঝিয়ে অপরাজিতা বিল পাশ করানোর চেষ্টা করা। রাজ্যের স্বার্থে, নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের স্বার্থেই এটা তাঁর করা উচিত।’ বিল নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘এই বিলে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। তা কার্যকর করা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব।’
যদিও বিধানসভায় জবাবি ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘মাননীয় রাজ্যপালকে বলুন! ওই বিলে (রাষ্ট্রপতির) সই (এর ব্যবস্থা) করে দিতে।’ এ দিন আবার শুভেন্দু দাবি করেন, ওই বিল ত্রুটিপূর্ণ। যদিও এ দিন রাষ্ট্রপতির কাছে বিলটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনের তরফে। তবে রাজ্যপালের কাছে বিধানসভায় এই বিল নিয়ে বিতর্কের বিশদ ইংরেজি অনুবাদ না-পাঠানোর জন্য এক্স হ্যান্ডলে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিন্যাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ বিধানসভায় পাশ হয়েছিল। তারপর নিয়ম অনুযায়ী তা পাঠানো হয় রাজভবনে। এখন রাজ্যপাল বোস তা রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন রাজভবনের পোস্টে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই বিলটি এখন অন্য কয়েকটি রাজ্যের পাঠানো একই ধরনের বিলের মতো রাষ্ট্রপতির বিবেচনাধীন থাকবে। বাকি রাজ্যগুলি হলো মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও অরুণাচল প্রদেশ।’ যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি এই বিলে অনুমোদন দিলে তা গোটা দেশের কাছে মডেল হবে।