‘১৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে…’, NRC আতঙ্কে এবার গায়ে আগুন দুই সন্তানের মা ব্য়ারাকপুরের গৃহবধূর! Another Death for fear of NRC in Bengal


বরুণ সেনগুপ্ত: ফের NRC ‘আতঙ্কে আত্মহত্যা’! এবার  গায়ে আগুন দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিলেন এক গৃহবধূ। স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের ঘটনা।

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন:  SIR in Bengal: SIR জুজু! ভারত থেকে ‘পালাতে’ গিয়ে সীমান্তে জালে শিশু-মহিলা সহ বাংলাদেশিদের দল…

পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম  কাকলি সরকার। বাড়ি, বারাকপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেজি স্কুল রোডে। একসময়ে বাংলাদেশে থাকতেন তিনি।  বছর পনেরো আগে স্বামীর সঙ্গে চলে আসেন ভারতে। দুই সন্তানও রয়েছে বছর তেত্রিশের ওই মহিলার। 

এদিকে বিহারের পর এবার বাংলাতে চালু হয়ে গিয়েছে SIR।  নভেম্বর  থেকে  ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের এনুমারেশন ফর্ম দেবেন বিএলও-রা।  পরিবারের লোকেদের দাবি, বাংলায় SIR চালু হওয়ার পর থেকে রীতিমতো আতঙ্কে ছিলেন কাকলি। ভেবেছিলেন, হয়তো আবার বাংলাদেশে চলে যেতে হবে। বস্তুত, গত কয়েক দিন ধরেই স্বামীকে নাকি বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্যও বলছিলেন! স্বামী বলেছিলেন, ‘SIR মিটুক, তারপর যাব’। কিন্তু তাতে কান দেননি। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘরে আগুন গিয়ে আত্মহত্যা করেন কাকলি।

এদিকে  NRC ‘আতঙ্কে আত্মহত্যা’র ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতেও। নিজেকে শেষ করে দিলেন মহাজাতি নগরের বাসিন্দা প্রদীপ কর।  প্রতিবেশীদের দাবি, সোমবার নিজের ঘরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র এখন শরগরম রাজ্য রাজনীতি। বুধবার মৃতের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। হুঁশিয়ারি দেন, ‘SIR, NRC করে বাংলার একটা মানুষকে যদি এরা ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়, আমরা এক লক্ষ লোক নিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করব। কত ধানে কত চাল, এদের বোঝাব। এত সোজা নয়’।

আরও পড়ুন:  Burdwan News: একই দিনে একই রোগীর দু’রকম রিপোর্ট! ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভয়ংকর ‘ভুলে’ রোগী…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *