পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে এই ধরনের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় BJP-র দিকে আঙুল তুলেছে শাসক দল। স্লোগান তুলে প্রধান বিরোধী দলকে নিশানা করেন জোড়াফুল সমর্থকরা। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে লড়াইতে পেরে না উঠে রাতের অন্ধকারে BJP এই কাজ করেছে। এমনকী এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপও দাবি করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে তৃণমূলের আনা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP। তাদের দাবি, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বাড়ছে, সেই কারণে পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আলাউদ্দিন মল্লিক এ প্রসঙ্গে বলেন, “শহিদ বেদীতে থাকা দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও নবনির্বাচিত সভাপতির ছবি দেওয়া পোস্টার ছিল। সেই গুলিও ছিঁড়ে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছি। আশা করি পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।” জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কুন্তক গুছাইত বলেন, “এই অঞ্চলে তৃণমূল খুব শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে। তাই সহ্য করতে না পেরে এই কাজ করা হয়েছে। আমরা ধিক্কার জানাই।”
বিজেপি নেতা অশোক সিংহ বলেন, “আমি এই কথা সাংবাদিকদের থেকে শুনলাম। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের পোস্টার বা ব্যানার ছেঁড়ার পক্ষে নয়। রাতের অন্ধকারে BJP না তৃণমূল করে। এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে কোথায় দাঁড়াবে, সেই নিয়ে এখনও থেকে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। BJP এই ধরনের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে আমি মনে করি না।
