ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কুন্তলের নামে থাকা মোট ১০টি অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্টগুলি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত ইতিমধ্যেই গাড়ি কেনার জন্য কুন্তলের থেকে নেওয়া ৪০ লাখ টাকা তদন্তকারী সংস্থাকে ফেরত দিয়েছেন। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল সোমার নামও।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কুন্তলের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে সোমার নাম পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিজিও কম্পলেক্সে তলব করা হয় নেইল পার্লার ব্যবসায়ী সোমাকেও। ইডির তলব পেয়ে নথি সমেত সিজিও কম্পলেক্সে হাজির হন সোমা। সেখান থেকে বেরোনোর সময় ইডিকে তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁর থেকে যে যে নথি চেয়েছিল, তা তিনি জমা দিয়েছেন।
সোমার নাম সামনে আসতে উঠে আসে বনি সেনগুপ্তের বান্ধবী তথা অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের নামও। সোমার পার্লারের হয়ে মডেলিং ও প্রচারের কাজ করেছিলেন কৌশানি এমনটাই জানা গিয়েছিল। এমনকী সোমান জানান, কুন্তলের মাধ্যমেই কৌশানির তাঁর প্রথম দেখা হয়েছিল। সোমা সেই কথা স্বীকার করলেও গোটা ঘটনায় অস্বীকার করেন কৌশানি। এমনকী সোমার নাম ‘প্রথম শুনছি’ বলেও দাবি করেন তিনি।
দু’দফার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর সংবাদমাধ্যমকে সোমা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে কুন্তলের থেকে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেই তিনি তা ফিরিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। এমনকী ইডিকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন সোমা। কী ভাবে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হল প্রশ্নের জবাবে সোমা বলেন, “কমন বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল। তখন আমি খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। ২০১৮ সালে কুন্তলের থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিলাম।” উল্লেখ্য, তদন্ত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক নতুন নাম সামনে আসছে। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।