মুকুল রায়ের BJP-তে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাবার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। কিছু রাজনৈতিক দল নোংরা খেলায় নেমেছে। আমার মনে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করতেই এই সব করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “একটা সুস্থ মানুষের BJPতে যোগ দেওয়া আর মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষের যোগ দেওয়ার মধ্যে তফাত রয়েছে। তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন। তিনটি বেসরকারি হাসপাতালের রিপোর্ট বলছেন তিনি অসুস্থ। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খবর নিয়েছিলেন বাবার। আমি চাই বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নিক এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটান।”
মানসিক অবস্থায় সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলগুলিমুকুল রায়কে তাদের দলে যোগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করতে পারে বলে আশঙ্কা শুভ্রাংশুর। তাঁর কথায়, “এখানে টাকার খেলা হয়েছে। বাবার কাছে কোনও টাকা ছিল না। এক অবাঙালির মাধ্যমে আমার বাবাকে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাবার সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন রাজু মণ্ডল। তিনি তাঁর গাড়ি চালক। অপরজন ভগিরথ মাহাত। তিনি বাবার দেখভাল করতেন। দুজনেরই ফোন বন্ধ বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। অত্যন্ত উদ্বেগে গোটা পরিবার।”
মুকুল রায়BJP-তে যোগদান করবেন সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না শুভ্রাংশু। তিনি বলেন, “বাবা যদি BJP-তে যোগদানও করে সেক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে না। আগের মুকুল রায়ের সঙ্গে এখনকার মুকুল রায়ের অনেক তফাত রয়েছে। বাবা যদি BJP-তে যোগদানও করেন তিনি সুস্থ অবস্থায় করছেন না। সেক্ষেত্রে আমার প্রথম কাজ হবে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে চিকিৎসা করানো। ছেলে হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব থেকে এড়িয়ে যেতে পারি না।”
তিনি নিজেও দিল্লি যাবেন বলে জানিয়েছেনশুভ্রাংশু রায়। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ১০-এর পর থেকে বাবার সঙ্গে কথা হয়নি বলে জানান শুভ্রাংশু। তিনি বলেন, “বাবা ইনসুলিন নেন। দিনে ১৮টা ওষুধ খান। এখন তিনি কেমন আছেন আমার জানা নেই।” এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শুভ্রাংশু রায়।