স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে ১১৬ বি জাতীয় সড়কের দিঘা-নন্দকুমার রোডের গয়াগিরি বাস স্টপেজের কাছে একটি আলু বোঝাই লরি ও একটি সিমেন্ট কোম্পানির গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের কারণে দুটো গাড়িতে আগুন লেগে যায়। রাস্তার উপরেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ট্রাক দুটি। ট্রাক দুটির মধ্যে তখন চালক ও খালাসিরা আটকে পড়েন।
ঘটনাস্থলে আলু বোঝাই লরির ড্রাইভার ও খালাসি গাড়ির মধ্যেই আগুনে পুড়ে আহত হয়। খালাসি এরপর বহুক্ষণের চেষ্টায় গাড়ি থেকে বের হতে পারলেও, চালকটি আর বের হতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সিমেন্টের গাড়ির ড্রাইভার ও খালাসি বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার পরে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক যান চলাচল বন্ধ থাকে।
ঘটনায় হইচই পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন তাঁরা। দ্রুত তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মারিশদা থানার পুলিশ ও দমকল। আহতদের স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে লরি দুটির আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে ভেতরে ওই চালক আগুনে ঝলসে যান। উদ্ধারকার্যে কিছুটা দেরি হওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ১১৬ বি জাতীয় সড়কের দিঘা নন্দকুমার রোডের উপর কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে আবার তা স্বাভাবিক করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসেই দিঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কে একই দিনে জোড়া দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। খেজুরি থানার কৃষ্ণনগরে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। গুরুতর জখম হয় এক শিশু। একটি দুর্ঘটনায় জাতীয় সড়কের নাজির বাজারে বাসের পেছনে একটি মারুতি ধাক্কা মারে। দ্রুতগতিতে থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের পিছনে ধাক্কা মারে বলে খবর।