স্থানীয় সূত্রে খবর, মুন্নি বাইন নামে ওই ছাত্রীর বাড়ি তাহেরপুর থানার মুগড়াইল এলাকায়। শনিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় বাদকুল্লা মোড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় ওই ছাত্রী। ঘটনাস্থলেই ওই ছাত্রী মারা যায় বলে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন একটি ট্রাক ওই ছাত্রীকে রাস্তার উপরেই সজোরে ধাক্কা মারে।
দুর্ঘটনার পরেই এই পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীরা বাসিন্দারা। মৃত ওই ছাত্রীর নাম মুন্নি বাইন স্থানীয় বাদকুল্লা অঞ্জনগড় উচ্চ বিদ্যালয় এর নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্কুল ছাত্রীদের পথ অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ বিক্ষোভ চলে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তাহেরপুর থানার পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। ছাত্রী মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। তবে এলাকায় বেপরোয়াভাবে ট্রাক চলাচলের ব্যাপারে বিক্ষোভ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে আগে জানানো হলেও মালবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, বাদকুল্লা ইউনাইটেড ক্লাব মোড় এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে আগেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, ওই রাস্তা দিয়েই স্কুলের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে। পাশাপাশি, রাস্তা মেরামতির সময় রাস্তায় বাম্পার তুলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সেই বিষয়ে স্থানীয় পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছিল। প্রশাসনিক গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে জানানো হয় স্কুলের তরফে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুপ্রতিম রায় বলেন, “আমাদের স্কুলের একটি ছাত্রী মারা গিয়েছে। খুবই মর্মান্তিক। তবে এই দুর্ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে বলে আমি মনে করি।” রাস্তায় অবিলম্বে বাম্পার তৈরি করা, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা এবং জনবহুল জায়গায় ইমারতি দ্রব্য ওঠানো, নামানো যাতে বন্ধ করা হয় সে ব্যাপারে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।