
[ad_1]
#মালদহ: চাউমিন, এগরোল বা মোমো নয়,গরম থেকে রেহাই পেতে ঠান্ডা খাবারের মজেছে মালদহ। বিকেলের পর থেকেই রাস্তার ধারের ফালুদা দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন যুবক- যুবতী থেকে খুদেরা। এই প্রথম মালদহ শহরে ফালুদা নিয়ে হাজির হয়েছেন ভিনরাজ্যের বিক্রেতারা। জেলায় গরমের তীব্রতাও বেড়েছে। গরম থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে ঠান্ডা পানীয় বা ঠান্ডা খাবারের খোঁজে আমজনতা।
মিল্কশেক, চিনি দিয়ে তৈরি হয় বিশেষ এই ঠান্ডা খাবার। সঙ্গে সিমাই, কিসমিস, বাদাম, নারকেল মেশানো হয়। খেতে মিষ্টি সুস্বাদু এই ঠান্ডা খাবার অনেকটা লস্যি বা মিল্কশেকের মত। তবে পানীয় নয়, এটি একটি ঠান্ডা খাবার। বাইরে বেরিয়ে নতুন এই খাবার খেতেই ভিড় করছেন সকলে। মালদহ শহরের সুকান্ত মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে গাড়িতে করে বিক্রি করছেন ফালুদা। ছোট চার চাকার গাড়িকে দোকানের আকার দেওয়া হয়েছে। গাড়ির মধ্যে তৈরি হচ্ছে ভিনরাজ্যের এই ঠান্ডা খাবার। মালদহের বাজারে এক গ্লাস ফালুদা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সাধ্যের মধ্যে দাম থাকায় ভিড় করছেন।
আরও পড়ুন – Paschim Bardhaman: গাছ থেকে লাফালাফি করে পা ভাঙল হনুমানের, তারপর…
অনেকেই খাবারের নাম শুনে ছুটে আসছেন। শুধু ফালুদা নয়, সঙ্গে মিল্কশেক, আইসক্রিম সহ বেশ কিছু ঠান্ডা খাবার ও পানীয় রয়েছে এই দোকানে। তবে এখানে অধিকাংশ মানুষ ফালুদা খেতেই আসছেন।রাজস্থানের বিক্রেতারা এই প্রথম মালদহে ফালুদা নিয়ে এসেছেন। বিক্রেতারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। এই বছর গরমের মরশুমে মালদায় আসেন। গত তিন সপ্তাহ আগে এখানে এসেছে। প্রথমদিকে একটু বিক্রি কম হয়েছে। এখন শহরের বহু মানুষ জেনে গিয়েছেন মালদহে বিক্রি হচ্ছে ঠান্ডা খাবার ফালুদা। বিক্রেতারা সুকান্ত মোড়ে নির্দিষ্ট জায়গায় বসছেন প্রতিদিন। বিকেলের পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলছে বিক্রি।
বিক্রেতারা জানান, তারা এবার প্রথম মালদহে এসেছে। ঘুরে ঘুরে প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গাই বিক্রি করে।এখন পর্যন্ত মালদহে বেচা কেনা ভাল হচ্ছে। ফালুদার প্রতি মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। তাই তারা এখানে স্থায়ীভাবে একটি জায়গাই বিক্রি করছে। গোটা গ্রীষ্মের মরশুম থেকে কালিপুজো পর্যন্ত তারা এখানে থাকবেন। কালিপুজোর পর ফিরে যাবেন বাড়ি। আবার গরমের মরশুমে মালদহে আসবেন।
Harashit Singha
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
[ad_2]
Source link