স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে চাননি মহিলা। তাই প্রায় দু’মাস তিনি স্বামীকে ছেড়ে দিব্যি সংসার পেতেছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু, শ্বশুরবাড়ির নজরে বিষয়টি আসতেই তাঁরা পদক্ষেপ করে। অভিযোগ, প্রেমিকের বাড়ি থেকে জোর করে ওই বধূকে তুলে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

এমনকী, পড়শিরা বাধা দিলে তাঁদের মারধর করার অভিযোগও উঠেছে। ৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনগর এলাকায়। এদিকে ভালোবাসাকে ফিরে পেতে ‘দিদির দূতের’ শরনাপন্ন হয়েছেন ওই যুবক।

West Bengal Trending News : দিনভর চলত ঝগড়া, বউমাকে অপহরণের ছক শাশুড়ির?
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম ঝর্ণা রায়, তপতী রায়, বন্দনা বিশ্বাস এবং গীতু রায়। এদিনই তাঁদের বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।

ঠিক কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে , বাগদার তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা পাপিয়া রায়ের সঙ্গে কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী গ্রাম বেলেটারা গ্রামের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। কিন্তু, বিয়ের আগে থেকেই হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা অনুপম বাগচীর সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল ৷

National News : মাছির উপদ্রবে সুখ নষ্ট দাম্পত্যে! স্বামীদের ছেড়ে পালাচ্ছেন নববধূরা
পরিবারের সদস্যরা একপ্রকার জোর করে পাপিয়ার অমতেই বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর তিনি অনুপমের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিলেন। কিন্তু, সেই সময় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও মাস দুয়েক আগে তিনি বাড়ি ছেড়ে অনুপমের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। অনুপম জানান, পরিবারের সদস্যরা জোর করে পাপিয়াকে বিয়ে দিয়েছিল। ও বিয়ে করতে চায়নি। তাঁর মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেছিলেন বলেও জানান অনুপম।

Alipurduar News : নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কিশোরীকে ধর্ষণ নাবালকের! গর্ভবতী পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী
কিন্তু, গত ৯ এপ্রিল তেঘরিয়া এবং বেলেডাঙার গ্রামের বাসিন্দারা লাঠি নিয়ে অনুপমের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, সেই সময় স্নান করছিলেন পাপিয়া। তাঁকে একপ্রকার জোর করে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধু তাই নয়, হরিনগর গ্রামের বাসিন্দারা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে কথা বলেন।

ঘটনায় তৎপর হয়েছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ করা হচ্ছে।

Eid 2023 : ঈদের অনুষ্ঠানে চাঁদার জুলুমবাজির অভিযোগ, পুলিশের দ্বারস্থ অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
যদিও পাপিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা মানতে নারাজ। তাঁদের কথায়, নিয়ম মেনে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পাপিয়ার। এরপর তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের গোটা পরিবার ব্যতিব্যস্ত।

ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে এলাকায়। হরিনগর গ্রামের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই ঘটনায় তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। সুবিচার চাইছেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *