স্থানীয় সূত্রে খবর, শিকারের খোঁজেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে ওই দুটি ভাল্লুক। এক গৃহস্থের পালিত শুয়োর টেনে নিয়ে যায় ওই দুই ভাল্লুক। ওই ঘটনায় শুক্রবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা উমেশ ঠাকুরের পালিত শুয়োর টেনে নিয়ে ভাল্লুক দুটি নিকটবর্তী ঝোপে লুকিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাত প্রায় দুটো নাগাদ দুটো ভাল্লুক গ্ৰামে ঢোকে। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দা উমেশ ঠাকুরের বাড়ির প্রাঙ্গনে হানা দেয়। বাড়ির সামনেই বেঁধে রাখা পোষ্য শুয়োরকে টেনে নিয়ে চলে যায় ভাল্লুক দুটি। আওয়াজ পেয়ে তড়িঘড়ি উঠে পড়ে ওই বাড়ির সদস্যরা। ভাল্লুকের হানায় সারা রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। সকাল হতেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ভাল্লুক হানা দেওয়ার খবর। খবর পাঠানো হয় বন দফতরে।
শুক্রবার সকালে দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় ভাল্লুক দুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বন দফতরের কর্মীরা। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে দক্ষিণ লতাবাড়িতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আসে কালচিনি থানার পুলিশও। গ্রামের পাশেরই একটি ঝোপে লুকিয়ে ছিল ভালুক দু’টি। পরবর্তীতে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে একটি বড় ভালুককে কাবু করে বন দফতরের কর্মীরা। পরবর্তীতে গ্ৰামবাসী ও বন কর্মীদের সহযোগিতায় ছোটো ভালুকটিকেও কাবু করা হয়। ভালুক দুটিকে উদ্ধার করে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ায় নিয়ে যায় বন দফতর। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ওই দুটি বন্য প্রাণীকে জঙ্গলের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শীত পড়লেই চা বাগান এলাকাগুলিতে ভাল্লুকের আনাগোনা শুরু হয়। গত বছর মেটেলির একটি চা বাগানে ভাল্লুকের আক্রমণে মৃত্যু হয় এক যুবকের। এলাকাবাসীর পালটা হামলায় মারা যায় ভাল্লুকটিও। নাগরাকাটার ভগৎপুর চা বাগানেও ভাল্লুক হানা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। নাগরাকাটার ভগৎপুর চা বাগান থেকে ভাল্লুকটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিনের ঘটনায় ফের আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।