স্থানীয় সূত্রে খবর, সুপ্রিয়া দত্ত রায়গঞ্জের রবীন্দ্র পল্লী এলাকায় বাসিন্দা। তাঁর স্বামী দেবাশিষ দত্ত পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি জেলা পরিষদের কর্মরত। দম্পতির একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। শুক্রবার সকালে নিয়মমাফিক অফিসে যান দেবাশিষ দত্ত। ছেলেও নিজের স্কুলে যায়। সে সময় ঘরে একাই ছিলেন সুপ্রিয়া দেবী। পরে সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা লক্ষ্য করেন ঘরে সুপ্রিয়া দেবী দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গলার নলি কাটা রয়েছে বলেও জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর দেওয়া হয় মহিলার স্বামীকে।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দেবাশিষ দত্ত বাড়ি এসে দেখেন শোবার ঘরে তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃত দেহ পড়ে রয়েছে। মৃতার স্বামী জানান, দুপুরে তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। কিছু টাকাও তুলেছিলেন। এরই মধ্যে এই ঘটনা। যে ঘরে মৃতদেহ রয়েছে তার পাশের ঘরের জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায় দেখা যায়। পরিবারের তরফে তৎক্ষণাৎ রায়গঞ্জ থানায় (Raiganj Police Station) খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল বুঝে উঠতে পারছেন না মৃতার স্বামী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের প্রতিনিধি তথা তৃণমূল নেতা প্রিয়তোষ মুখার্জি। এ বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বার করুক, এমনটাই আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
তবে, ঘরের পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে দুস্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ভর সন্ধ্যায় এরকম ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুপ্রিয়া দেবী ঘরে থাকাকালীন কেউ ঘরে ঢুকেছিল কিনা, সে ব্যাপার লক্ষ্য করেনি কেউ। তবে পাশের ঘরে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড হয়ে থাকার কারণে ডাকাতির অনুমান করছেন স্থানীয়রাও।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।