এদিনের শোভাযাত্রায় প্রথমে শান্তিপুরের সমস্ত বিগ্রহ বাড়িগুলি তাদের বিগ্রহ দেবতা নিয়ে অংশগ্রহণ করে। এখানে শ্রী চৈতন্যদেবের একাধিক লীলা এবং শ্রীকৃষ্ণের লীলা খেলার সমস্ত দিক তুলে ধরা হয় শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ হিসেবে। তবে বরাবরই শান্তিপুরের ভাঙা রাসের ঐতিহ্য হল বিগ্রহ বাড়িগুলির রাই রাজা৷ এবছর বেশিরভাগ বিগ্রহ বাড়ি তাদের সুসজ্জিত রাই রাজা নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। অন্যদিকে দু’বছর করোনা আবহ কাটিয়ে প্রশাসনিক বাধা না থাকায় শোভাযাত্রা আরও মনোরম করে তুলেছিল শান্তিপুরের সমস্ত পুজো বারোয়ারিগুলি।
প্রত্যেকটি বারোয়ারির একের পর এক আলোকসজ্জা লাখ লাখ দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়৷ তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র তো বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলই। সব মিলিয়ে শান্তিপুরের ভাঙা রাসের শোভাযাত্রায় লাখ লাখ দর্শনার্থীদের ঢল নামে৷ পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত ছিল না শান্তিপুরের রাজপথে। তবে নিরাপত্তা থাকলেও, দর্শনার্থীদের ভিড়ের চাপে অনেকটা নাজেহাল হতে হয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনকে। এত মানুষকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে৷ সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রার একের পর এক আকর্ষণ৷ শোভাযাত্রা চলে ভোররাত পর্যন্ত৷ কিন্তু তবুও দর্শনার্থীদের ভিড়ের চাপ এতটুকুও কমেনি। আজ বিভিন্ন বিগ্রহ বাড়িগুলি তাদের বিগ্রহ দেবতাকে চিরাচরিত নিয়ম মেনে কোলে করে নাচিয়ে মূল মন্দিরে প্রবেশ করাবেন।
ভাঙা রাস নিয়ে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, ‘‘এবার আমরা খুব চেষ্টা করেছি, যাতে ভাঙা রাস খুব সুন্দর হয়৷ আমাদের পুরপিতা সুব্রত ঘোষ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন৷’’ তখনই তিনি জনপ্লাবন নিয়ে দাবি করেন, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর আসাতেই এই জনপ্লাবনের আন্দাজ মিলেছিল৷ বিরোধী শক্তি শূন্য হবে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ৷