গঙ্গারামপুর ব্লক ও কুমারগঞ্জ বিধানসভা এলাকার ফুলবাড়ি এলাকায় সাত সকালে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য সংবলিত পোস্টার উদ্ধার হয়। এলাকার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজগর আলি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার সারের দোকানের সামনে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোস্টারটি দেওয়ালের মধ্যে টাঙিয়ে দিয়ে যায় বলে দাবি। যদিও সকালে সারের দোকানের মালিক আজগর আলি তা দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানান। স্থানীয় বাসিন্দা আজগর আলির দাবি, ‘‘সকালবেলা আমি দোকানের সামনে একটি পোস্টার দেখতে পাই৷ চেয়ারম্যানের নাম করে পোস্টারটি দেওয়া হয়েছিল৷ আমি দেখেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানাই৷’’
তাঁর কাছ থেকে এহেন ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই পোস্টারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান নিখিল সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য লেখা দেখা যায়। আর এই ঘটনার পরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। কারণ যেখানে জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় কিছুটা দূরেই BJP-র জেলা সভাপতির বাড়ি৷ আর সেই বিষয়কে হাতিয়ার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ময়দানে নেমেছেন৷
তাঁর দাবি, ‘‘পোস্টারে যেসব অভিযোগ লেখা রয়েছে, সবই মিথ্যা৷ এটি BJP-র চক্রান্ত। রাতের অন্ধকারে নয়, ওরা দিনের আলোতে আসুক রাজনীতির ময়দানে, সামনাসামনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক৷’’ এই ঘটনায় BJP-র জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর দাবি, ‘‘CCTV ক্যামেরা দেখে প্রশাসন তদন্ত করুক৷ এটি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কলহের ফল, যা এখন প্রকাশ্যে। আমার কাছে খবর, কুমারগঞ্জের দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে ওদের লড়াই চলছে৷ এতে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে৷’’ CPIM নেতা রঞ্জিত তালুকদারের দাবি, ‘‘দুর্নীতি না করলে ওদের দলে পদোন্নতি হয় না৷ দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব কিনা, জানি না৷ তবে এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ৷’’