জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শমী গাছ। কে না চেনে এই গাছ। মহাভারতে এই গাছের উল্লেখ আছে। এই গাছ হিন্দু ধর্মবিশ্বাসে এমনিতেই খুব পুণ্য বৃক্ষ বলে পরিগণিত। এর উপর এই গাছ শনি দেব ও শিবের অতি প্রিয় বলেও জানা গিয়েছে। এমনিতেই এরকম বহু গাছপালা আছে যাদের শুভ কল্যাণকর বলে মনে করা হয়। যেমন তুলসী গাছ, বেল গাছ ইত্যাদি। বাস্তু শাস্ত্রবিদেরা বলে থাকেন, শুভকর পুণ্য এই সব গাছের মতোই শমীও অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি গাছ। এই গাছ যদি কারও বাড়িতে থাকে তবে তাঁর শনির দশা হয় না বলে বিশ্বাস।
জেনে নিন কখন কোথায় এবং কী ভাবে এই গাছ রোপণ করবেন:
আরও পড়ুন: Horoscope Today: আর্থিক ক্ষতি বৃষর, সম্মানহানি কন্যার, পড়ুন রাশিফল
১) এই গাছ সরাসরি মাটিতে পোঁতা যায়, আবার কোনও পাত্রেও পোঁতা যায়।
২) শমী গাছ রোপণের সব চেয়ে পুণ্য তিথি হল দশমী তিথি। সেই হিসেবে অনেকেই বিজয়া দশমীর দিনে এই গাছ রোপণ করেন।
৩) তবে এই গাছ পুঁততে হবে বাড়ির মেন গটে। একমাত্র তা হলেই আপনার ভাগ্য়ে শুভ পরিবর্তন আসবে বা আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে।
কী করে এই শমী গাছ?
১) কেউ যদি আর্থিক কষ্টে ভোগেন তবে তাঁর ক্ষেত্রে আশু ফল দেয় এই গাছ। কেটে যায় সমস্ত অর্থনৈতিক দুর্দশা। যদি নিয়মিত এ গাছে জলদান করা যায় বা এতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেওয়া যায় তবে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। তখন সম্পদ ও বৈভবের অধিকারী হওয়া যায়।
২) যদি কারও বিয়ে বিলম্বিত হয়, তবে সেই বাধা কাটাবার জন্যও শমী গাছে জলদান পা পুজো করা কর্তব্য। টানা ৪৫ দিন ধরে এই গাছে জল দিয়ে যেতে হবে।
সব মিলিয়ে শমী গাছের বিপুল প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন বাস্তুবিদেরা। তাঁরা এই গাছ বাড়ির সদর দরজায় লাগাবার কথা বলেন। পাশাপাশি, যদি এ বিষয়ে কোনও সমস্যা হয়, তবে এই গাছ ছাদেও রোপণ করা যায়। সে ক্ষেত্রে দিকের একটা ব্যাপার থাকেই। দক্ষিণ বা পূর্ব দিক ভালো হয়। তবে উত্তরপূর্ব দিকটি সব চেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।
(জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো এই জাতীয় কোনও নির্দেশিকা দিচ্ছে না। এটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস অনুযায়ী রচিত।)