মৃতার মামা সঞ্জু হোসেন জানান, ‘‘গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল, চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। রক্ত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গতকাল রিপোর্ট আনতে গেলে ভর্তি করে নেয়। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, পরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। রাতেই মৃত্যু হয়।’’
ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি নিয়ে শুরু হয়েছে TMC- BJP র মধ্যে রাজনৈতিক তরজা৷ BJP র সাংগঠনিক জেলার সদস্য স্নেয়াংশু মোহান্তর অভিযোগ, ‘‘সারা রাজ্যের সঙ্গে বৈদ্যবাটি পুরসভায় ডেঙ্গি ছেয়ে গিয়েছে। বৈদ্যবাটি পুরসভার পক্ষ থেকে যে পরিষ্কার করা হয় তা শুধু নামমাত্র। মশা নিধন করতে যে তেল ব্যবহার করা হয়, সেটা জল। চুনের সঙ্গে ব্লিচিং মেশানো হয়, তাতে কোনও গন্ধ থাকে না। পুকুরগুলো সমস্ত আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়ে রয়েছে। পুরো এলাকাটাই আবর্জনা। সবেতেই কাটমানি৷ কাটমানি যেখানে এরাও সেখানে।’’
BJP র অভিযোগ উড়িয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতোর দাবি, ‘‘এলাকা ঠিকভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে ও তেল স্প্রে করা হচ্ছে। সমস্যা হল মানুষ সচেতন নয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি সার্ভে করতে গেলে তাদের কাছে জ্বরের কথা লোকানো হচ্ছে। এই মেয়েটির বাড়িতেও স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়েছিল, তাদেরকে বলা হয়েছিল জ্বর হয়েছিল, ভালো হয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘মানুষ রোগ না লুকিয়ে যদি প্রশাসনকে জানায় তাহলে, চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা করা যায়। জ্বর হলে লুকিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’’
এমনকি তেলের বদলে জল স্প্রে করা নিয়ে BJPর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর দাবি, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ কেন তেলের বদলে করব জল স্প্রে করব। তারা জানেন না ১৫ লিটার জলে 7ml ওষুধ দিতে হয়। তারা যে কাটমানির অভিযোগ করছে সেটাও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পুরসভা তেল কেনে না। এই তেল বাইরে বিক্রি হয় না, কোনও ওষুধের দোকানে এই তেল পাওয়া যায় না। বিরোধীদের কাজ বিরোধিতা করা৷’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘তারা মুখে বলছে কিন্তু কোনও জায়গায় কোদাল হাতে কাজ করতে তাদের দেখা যায়নি। তারা বলতে ভালোবাসেন কাজ করতে ভালবাসেন না। আমরা কাজ করছি। বাসিন্দাদের কাছে অনুরোধ শরীর খারাপ হলে লুকিয়ে যাবেন না, পুরসভার সঙ্গে সহযোগিতা করুন।’’