জানা গিয়েছে, জেলায় জমে রয়েছে একাধিক কেস। দীর্ঘদিন কেস পড়ে থাকায় মানুষজন যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনই সরকারি কোষাগারেও আসছে না অর্থ। তাই এবার জেলায় মোবাইল লোক আদালত চালু করে জরিমানার অঙ্ক কমিয়ে কেসের সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ তমলুক, হলদিয়া ও কাঁথি মিলে মোট পাঁচটি মোবাইল লোক আদালত চালু করা হচ্ছে। যার মধ্যে তমলুকে দু’টি, হলদিয়ায় দু’টি এবং কাঁথিতে একটি চালু করা হবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব সমরেশ বেরা বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরের ডিস্ট্রিক্ট জজ বলেছেন এখানে আমরা পাঁচটি মোবাইল লোক আদালত করছি৷ এর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, দ্রুত কেসের নিষ্পত্তি৷ যারা ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করে তাদের বর্তমানে পুরো ফাইন দিতে হচ্ছে৷ তাই আমরা কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আমরা জানাই, এতে জরিমানার পরিমাণটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে৷ ফলে দু’দিক থেকে অসুবিধা হচ্ছিল৷ একদিকে এত পরিমাণ ফাইন মানুষ জমা করছিল না, আর ফাইলের সংখ্যা বেড়ে বেডে জমে যাচ্ছিল৷’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা এবার দুটো সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি৷ সাধারণ মানুষকে বলছি, ফাইনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন জরিমানার টাকা জমা করেন৷ এতে সরকারের কোষাগারে আয় বাড়বে৷ আর দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কেসগুলির সমাধান না হওয়ায় সেগুলি জমে জমে পাহাড় হয়ে যাচ্ছিল। সেগুলি এবার নিষ্পত্তি হবে৷ সেই উদ্দেশ্যে আমরা সারা জেলায় মোট পাঁচটি কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ নিয়েছি৷’’ আইনজীবী সুপর্ণা রায় বলেন, ‘‘এই জেলায় মোট পাঁচটা লোক আদালতের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তমলুকে দুটো, হলদিয়া দুটো এবং কাঁথিতে একটা৷ জমে থাকা কেসগুলো তাড়াতাড়ি শেষ করাই আমাদের উদ্দেশ্য৷ ফাইনের অঙ্কটাও কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷’’ এদিন তমলুকে দু’টি মোবাইল লোক আদালত চালু করা হয়।