শনিবার ওই গৃহবধূর ময়নাতদন্ত হয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। প্রাথমিকভাবে এই খুনের ঘটনায় নানা ধরনের তত্ত্ব উঠে এলেও, পুলিশের সন্দেহ কোনও পূর্ব পরিচিত ব্যক্তির যোগ রয়েছে এই ঘটনায়। মৃতা সুপ্রিয়া দত্তকে কোনও চেনাজানা ব্যক্তিই হত্যা করেছেন। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল ডাকাতির উদ্দেশে হয়তো এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে আততায়ী। কিন্তু তদন্ত শুরু হতেই পরিচিত তত্ত্বেই সিলমোহর দেয় সু্প্রিয়া দেবীর স্বামী ও পরিজনেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) এক ব্যক্তিকে ওই বাড়ি থেকে বিকেল তিনটে আঠাশ নাগাদ বেরতে দেখা গিয়েছে। যার পরনে ছিল মেরুন জামা ও মুখে ছিল মাস্ক। পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই ব্যক্তি সুপ্রিয়া দেবীর পূর্ব পরিচিত। তার বাড়ি কোচবিহার জেলার (Cooch Behar) চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায়। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, দিনেদুপুরে শহরের মূল রাস্তা এনএস রোডের পাশেই ঘটে যাওয়া এহেন হাড়হিম করা ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীরদের মধ্যে। শুধু স্থানীয় রবীন্দ্রপল্লী এলাকা নয়,আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রায়গঞ্জ শহর (West Bengal News) জুড়েই। এর আগেও ফাঁকা বাড়িতে রায়গঞ্জ পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতীদের হামলা ঘটেছে। তাই এই ব্যাপারে আরও পুলিশি নজরদারি ও তৎপরতার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে বাড়ির বিছানা থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পুত্র সন্তান স্কুল থেকে বাড়িতে এসে প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডিএসপি লিওন তামাং। আনা হয় পুলিশ কুকুরও। পুলিশের দাবি, খুনির সঙ্গে গৃহবধূর পূর্বপরিচয় ছিল। ঘটনার তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই খুনি ধরা পড়বে বলেও দাবি পুলিশের।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।