শনিবার ব্যান্ডেলে বলাগর নভেম্বর বিপ্লবের এক আলোচনা সভায় যোগ দেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় নেত্রী। সেখানে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দীপ্সিতা জানান, একজন আদিবাসী মহিলা একজন রাষ্ট্রপতির মত গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসবেন, যাঁরা পিতৃতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তাঁরা মেনে নিতে পারেন না। তাই উনি দেখতে কেমন ? ওঁর গায়ের রং কেমন ? তাই নিয়ে উনি কথা বলেছেন।
অখিল গিরির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে মন্তব্যের বিষয়টিকেও তুলে ধরেন দীপ্সিতা। তিনি বলেন, “এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনেছি। হাঁসখালি গণধর্ষণের পর উনি মাইকে দাঁড়িয়ে বলেন, ছোট মেয়েটির একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল কিনা তাই নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত। সেই মেয়েটির সঙ্গে গণধর্ষণ করে খুন করা হল সেটা, ওঁর কাছে গৌণ কথা ছিল। সুতরাং যাঁরা এই ধরনের পিতৃতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, মিসোজনিতে (Misogyny) বিশ্বাস করেন, সেই দলের নেতা মন্ত্রীদের মুখ থেকে এমন কথা আসবে, এটাই স্বাভাবিক।” প্রসঙ্গত, শুক্রবার নন্দীগ্রামের তৃণমূলের আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে শোনা যায় রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরিকে।
রাজ্যের সাম্প্রতিক ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও সমালোচনা করতে শোনা যায় তাঁকে। ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর মুখে কুলুপ এঁটেছে, এমনকি ডেঙ্গির ভয়াবহতার জন্য প্রশাসনের গাফিলতি ঢাকতে সাধারণ মানুষের উপরেই “দোষ” চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মত তাঁর। দীপ্সিতা বলেন, ” রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ইচ্ছা করে এ বিষয়ে কিছু বলছেন না। ববি হাকিম আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে সমস্ত দায়ভার সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়েছেন। যদি সাধারণ মানুষকেই সবকিছু করতে হয়, তাহলে হাতি পোষা সরকারের আর কোনও দরকার নেই।” রাজ্য সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতি “উদাসীন” বলেই মত তাঁর।