ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের (Kakdwip) গণেশ পুর তৃতীয় ঘেরি এলাকায়। রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণপদ দাসের পুরনো বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। তখনই একটি বাঁশের মধ্যে হাত দিতে হঠাৎ করেই তাঁর হাতের ছোবল মারে একটি বিষধর সাপ। এরপরই কৃষ্ণপদ বাবু ভয় না পেয়ে সটান সেই সাপটিকে একটি বোতলের মধ্যে ভরে নেন। বোতলে করে সাপটিকে নিয়ে সোজা চলে যান কাকদ্বীপ হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি কাকদ্বীপ হাসপাতালেই (Kakdwip Hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে কিছুটা সুস্থ রয়েছেন কৃষ্ণপদ দাস। আর তারই কর্মকাণ্ডে অনেক চিকিৎসকদেরই চক্ষু চড়ক গাছ। তবে আহত কৃষ্ণপদ দাসের বক্তব্য, সাপ না মেরে তাকে রক্ষা করতে হবে। তবেই রক্ষা পাবে বাস্তুতন্ত্র। আর তার এমন সাহসিকতায় অনেকেই তাঁর প্রশংসা করছেন হাসপাতাল চত্বরে। তবে সাপ কামড়ালে সেটিকে হাসপাতালে হাজির হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, অনেকেই সাপের সঠিক প্রজাতি চিনতে পারেন না। তাই ঠিক কোন সাপ কামড়েছে সেটা পরিষ্কার করে চিকিৎসকের কাছে বলতে পারেন না অনেক আহত ব্যক্তিই। তাই অনেক সময়ই গ্রামবাসীদের সাপে কামড়ালে সেই সাপটিকে সঙ্গে নিয়েই হাসপাতালে হাজির যান আহত ব্যক্তিরা। সাপটিকে চিহ্নিত করে যাতে চিকিৎসা করতে সুবিধা হয়, তার জন্যেই এরকম পদক্ষেপ নেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই সর্পাঘাতে অসুস্থ হন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় সালার থানার বহড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর শের আলি সেখ। শের আলি সেখ কে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। তবে শুধু হাসপাতালে অসুস্থ ব্যাক্তি নয়, হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ঘাতক সাপটিকেও। অন্যদিকে, সাপের কামড়ে আহত ব্যাক্তিকে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।