প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহীদ স্মরণ মঞ্চ পোড়ানোকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। আর সেই ঘটনার পরই শুক্রবার বিকেলে নন্দীগ্রামে প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) সহ মন্ত্রী শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ, শিউলি সাহার মতো তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা। নন্দীগ্রামে অখিল গিরি বলেন, “বলে দেখতে ভালো নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভালো! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু, তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?” মন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক। ইতিমধ্যে এই মন্তব্যের পর জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্য BJP। অখিল গিরির বিরুদ্ধে একাধিক থানায় FIR দায়ের করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।
রবিবার ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কার্যকর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হল খড়্গপুরের চাঙ্গুয়ালের একটি আবাসনে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। এদিন তিনি BJP-র জেলা ও ব্লক, মণ্ডল কার্যকর্তাদের নিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠক করেন। পরে মন্ত্রী জানান, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দলের কার্যকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করলাম। দলের কার্যকর্তাদের নির্দেশ দিলাম, সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কর্মসূচি পালন করতে। যাতে পঞ্চায়েত হোক বা, লোকসভা BJP ভালো ফল করতে পারে।
উল্লেখ্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে। সংগঠনের হাল হকিকত বুঝে নিতে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছেন BJP-র দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুূনীন বনসল এবং মঙ্গল পাণ্ডে। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে বৈঠক করেন সুনীল বনসল। এরপর বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মঙ্গল পাণ্ডে। আগামী সপ্তাহেই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগেই খড়গপুরের দলীয় কর্মীদের সামনে এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিশেষ বার্তা দেন মন্ত্রী।