মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) নদিয়া (Nadia) সফরের মধ্যেই মতুয়াদের (Motua) বঞ্চিত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে ওদের ভোট তাদের পক্ষেই আছে বলে জোর গলায় দাবি করেছিলেন BJP-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ আর ওই দিনই উত্তর কাঁথি (Contai ) বিধানসভার মুকুন্দপুর বাজারে তৃণমূলের চা চক্রে হাজির হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) মতুয়া সম্প্রদায়ের (Matua Community) কিছু মানুষকে BJP ভুল বুঝিয়েছিল, আবার তারা ফিরে আসছে বলে দাবি করেন৷
শনিবার মতুয়া সমাজের মানুষজন তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে আছে বলে দাবি করলেন মমতাবালা ঠাকুর৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘তৃণমূল সরকার আমাদের বিভিন্ন সময়ে নানা সহযোগিতা করছে৷ মতুয়াদের নামে বোর্ড করেছে৷ ঠাকুরের নামে ছুটি ঘোষণা করেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছেন আমরা সবাই নাগরিক, ফলে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকব৷’’ BJP কে নিশানা করে তাঁর দাবি, ‘‘সব কিছুতেই তো রাজনীতি৷ আমাদের ভোটেই তো তারা জয়ী হয়৷ ফলে আমাদের ব্যবহার করা ছাড়া আর কী করছে৷ তারা স্বার্থের জন্য আমাদের কাছে আসে৷ এখন তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের এখানে আসেন না৷ যখন আসেন, আমাদের জন্য কিছু করার কথা তো ভাবেন না৷ রাজনীতির অঙ্গনে দাঁড়িয়ে নয়, মানুষ হিসেবে বলছি, মুখ্যমন্ত্রী যতবার গিয়েছেন, আমাদের কিছু না কিছু দিয়ে এসেছেন৷’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘মতুয়ারা যথেষ্ট বুদ্ধিমান, তারা বোঝে কোথায় থাকা উচিত বা কোথায় থাকবে৷’’
BJP-কে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোট আসলেই মানুষকে ঠকাতে তারা ভাঁওতা দেওয়ার চেষ্টা করে৷ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের যত মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক আছেন, তাঁদের যে নথিপত্র আছে, আমাদেরও সেই একই জিনিস আছে৷ আমাদের ভোটে যখন তারা জিতছে, সরকার গঠন করছে, তারপরই বলছে আমরা নাগরিক নয়, আমাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে৷ তাঁরা পরিষ্কার করে বলছে না কী নথি চাইছে৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমরা কোনও শর্ত মেনে নাগরিকত্ব নেওয়ার পক্ষপাতী নই৷ ২০০৩ সাল থেকে কালা কানুনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল, নিঃশর্তভাবে নাগরিকত্ব দিতে হবে৷’’
অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের দু’দিনব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল কাঁকসার গোপালপুরে। এদিন কাঁকসার গোপালপুরের অনুষ্ঠানে যোগ দেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাতিপতি মমতাবালা ঠাকুর৷ এছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই বর্ধমান ও পার্শ্ববর্তী জেলার মতুয়া মহাসংঘের সদস্যরা। এদিন সম্মেলন থেকে মতুয়া মহাসংঘের সংঘঠন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ কোন পথে এগোবেন সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বলে খবর৷