দু’বছর করোনার কারণে সমবায়ের নির্বাচন বন্ধ ছিল। এবছর পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডিমারি ত্রিশক্তি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন হয়ে গেল রবিবার। রবিবার সকাল থেকেই এই ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছিল একেবারে তুঙ্গে। সমবায়ের মোট আসন রয়েছে ৬৮ টি। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৬১ টি আসন। CPIM পেয়েছে চারটি আসন, BJP পেয়েছে দুটি আসন, এবং SUCI পেয়েছে একটি আসন। সমবায় নির্বাচনে ফলাফল বের হতেই আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীরা। কর্মী সমর্থকরা বাজনা বাজিয়ে বাজি ফাটিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি অনেকটাই বাড়ল তা মনে করছে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সমবায়।
নির্বাচন নিয়ে BJP-র কার্যকর্তা নারায়ণ মাইতি জানান, এর আগে সমবায় নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দিতে পারতাম না। এবারের সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ৬২ টি আসনে BJP প্রার্থী দিতে পেরেছে। নন্দকুমার এর CPIM BJP-র যে জোট হয়েছিল তা এদিন BJP-র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ মাইতি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, কোনও দিনই CPIM-র সঙ্গে BJP-র আঁতাত হয়নি। আর হবেও না।
যদিও, কয়েকদিন আগেই ভোট হয়েছিল নন্দকুমার ব্লকের চক শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বহরমপুর কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটিতে। সেখানে কার্যত ধরাশায়ী হয়ে যায় ঘাসফুল শিবির। এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটির ৬৩ টি আসনের ৬৩ টি আসনেই পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটি জয়লাভ করে। তার মধ্যে BJP জেতে ৪৩টি আসনে, আর CPIM ২০টি আসনে। তবে গত ৯ নভেম্বর পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া সমবায় সমিতির ভোটে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে তৃণমূল। নয়টি আসনের মধ্যে নয়টি আসনেই জয়লাভ করল তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস। এখানে মূলত তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের (CPIM) লড়াই। এক সময়কার সিপিএম এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল রাতুলিয়া। সিপিএম জেলা সভাপতি নিরঞ্জন সিহির এলাকায় হিসেবে পরিচিত ছিল। এবার সেই এলাকায় সমবায় সমিতির নয়টি আসনের নয়টিতেই জিতল তৃণমূল কংগ্রেস।