West Bengal Government : বালি খাদানে চুরি রুখতে কল সেন্টার – west bengal government opening a call center to prevent sand and stone theft from the river


তাপস প্রামাণিক

নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি ও পাথর চুরি ঠেকাতে কল সেন্টার খুলছে রাজ্য সরকার। নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি চুরি হচ্ছে দেখলেই যে কেউ কল সেন্টারে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। মেসেজ কিংবা ই-মেলও পাঠানো যাবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

Liquor Shop : সুরাপ্রেমীদের জন্য এ বার নিজে দোকান দিচ্ছে রাজ্য
বালি ও পাথর খাদান দেখভালের জন্য গঠিত হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন। একটা সময় পর্যন্ত এই কাজটা করত সেচ দপ্তর। কিছু জায়গায় আবার বন দপ্তর এই কাজ দেখার দায়িত্বে ছিল। বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত বালি ও পাথর খাদানকে একছাতার তলায় আনা হয়েছে। বালি ও পাথর খাদানের লিজ দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকা থেকে শুরু করে লিজের পুনর্নবীকরণ, চুরি ঠেকানো, সবটাই দেখাশোনা করে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন।

এই সংস্থা তৈরির পিছনে মূলত দু’টি উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমত, বালি ও পাথর খাদান থেকে সরকারের রোজগার বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, নদী থেকে বেআইনি বালি পাচার বন্ধ করা। কর্পোরেশন তৈরি হওয়ার পরে সরকারের রোজগার অনেকটা বাড়লেও বালি ও পাথর পাচার পুরোপুরি আটকানো যায়নি। এখনও রাজ্যের বহু জায়গায় বেআইনি বালি খাদানের ব্যবসা চলছে। সেটা বন্ধ করতেই কল সেন্টার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারা বছর ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার খোলা থাকবে। যে কোনও সময়ে সেখানে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা যাবে। অভিযোগ নেওয়া এবং তার প্রতিকারের জন্য সেল খোলা হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার রিপোর্ট জমা দেবে সেল।

Howrah Corporation Election: বিল জটে আটকে থাকা হাওড়া-বালি পুর নির্বাচন কবে? জানালেন ফিরহাদ হাকিম
নবান্নের কর্তাদের ব্যাখ্যা, নদী থেকে বালি ও পাথর চুরির ঘটনা ঘটলেও সেই খবর যথাসময়ে প্রশাসনের কাছে পৌঁছচ্ছে না। অনেক জায়গায় অন্ধকারে বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে। স্থানীয় থানা এবং বিএলআরও অফিসের আধিকারিকদের একাংশ এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। ফলে স্থানীয় মানুষজন পুলিশ কিংবা বিএলআরও দপ্তরে অভিযোগ জানালেও সেটা ধামাচাপা পড়ে যায়। সেই খবর পৌঁছচ্ছে না উপরতলায়।

Tmc Leader Kajal Shah: বালির বাদশার শুরু সবজি থেকে! জেলাশাসকের বাসভবনের বাইরে বোমাবাজিতেও জড়িত কাজল
এই প্রবণতা বন্ধ করতেই কল সেন্টার তৈরির ভাবনা মাথায় এসেছে। কল সেন্টারে অভিযোগ আসামাত্রই সেই খবর পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। বিএলআরও এবং থানার আধিকারিকদের কাছেও সঙ্গে সঙ্গে এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপে খবর চলে যাবে। তার পরেও নদী থেকে বালি চুরি রুখতে থানা কোনও ব্যবস্থা না নিলে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *