Akhil Giri Comment : ‘কথা বলার সময়…’, অখিল গিরিকে ভাষা নিয়ে সংযত হওয়ার পরামর্শ বীরবাহা-জ্যোৎস্নার – birbaha hansda and jyotsna mandi gave advice to be moderate with language to akhil giri


Akhil Giri Controversy : দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) উদ্দেশ্য করে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অখিল গিরির (Akhil Giri) মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেই জল গড়িয়ে গিয়েছে দিল্লি পর্যন্ত।

 

হাইলাইটস

  • রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্যের জেরে রাজ্যে অব্যাহত রয়েছে উত্তেজনা
  • এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপিও
  • মন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন দলের আদিবাসী বিধায়করাও
West Bengal News : দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) উদ্দেশ্য করে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অখিল গিরির (Akhil Giri) মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাষ্ট্রপতির বাহ্যিক রূপ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। রাজ্যের সব মহল থেকেই তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। আর এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপিও (Bengal BJP)। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ থেকে শুরু করে মিছিল, কুশপুতুল পোড়ানো সবই অব্যাহত রয়েছে। চলছে রাস্তা অবরোধ। পাশাপাশি অখিল গিরির বিধায়ক পদও খারিজ করার দাবি জানানো হয়েছে। তবে শুধুমাত্র রাজ্য রাজনীতিই নয়, এর জল গড়িয়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। দিল্লির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই অখিল গিরির বিরদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমনকী, বিধায়কের এই মন্তব্য সমর্থন করেনি শাসক দলও। পাশাপাশি এর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন দলের আদিবাসী বিধায়করাও। TMC On Akhil Giri : ‘বিধায়কের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক’, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির ‘ফাউল’-এর নিন্দা TMC-র
ঠিক কী বলেছেন অখিল গিরি?
নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহীদ স্মরণ মঞ্চ পোড়ানোকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। আর সেই ঘটনার পরই শুক্রবার বিকেলে নন্দীগ্রামে প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) সহ মন্ত্রী শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ, শিউলি সাহার মতো তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা। অখিল গিরি এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) বাহ্যিক রূপ নিয়ে মন্তব্য করেন। বলেছিলেন, “বলে দেখতে ভালো নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভালো! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু, তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?” মন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরব হতে দেখা বিজেপিকে। টুইটারে একের পর এক মন্তব্য করতে দেখা যায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের। সরব হন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বরাও। কোথাও অখিল গিরির কুশপুত্তলিকাও পোড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দাবি তোলা হয়েছে অবিলম্বে তাঁকে মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে তাঁর বিধায়ক পদ কেড়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। এমনকী, অখিল গিরির বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি লেখেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। এদিকে এই মন্তব্যের পর দলের সমর্থনও হারান অখিল গিরি। দলের তরফে অবস্থান স্পষ্ট করে মন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করা হয়। Akhil Giri Comment : অখিল গিরির মন্তব্যের জেরে ক্ষুব্ধ আদিবাসী সমাজ, বাঁকুড়ায় মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ
সুর নরম অখিলের
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই সুর নরম করেছিলেন অখিল গিরি। ‘রাগের মাথায়’ ওই মন্তব্য করেছিলেন বলে সাফাই দিয়েছিলেন তিনি। এও জানিয়েছিলেন যে, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে তিনি কোনও খারাপ মন্তব্য করতে চাননি। তুলনা টানার জন্যই ওই কথা বলেছিলেন। অবশ্য এই সাফাইয়ের পরই চিঁড়ে ভেজেনি। ক্রমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভোর আঁচ। তারপর রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমাও চান মন্ত্রী। আর এই ঘটনার পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। কোথাও কোথাও এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ। এমনকী এনিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের দুই আদিবাসী মহিলা বিধায়কও। Akhil Giri: ‘আপনি আঘাত পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী…’, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি অখিল গিরির
সরব আদিবাসী বিধায়করা
অখিল গিরির এই মন্তব্য সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়ার (Bankura) রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে উদ্দেশ্য করে অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন তা আমি ব্যক্তিগত ভাবে সমর্থন করি না। দলও এটাকে সমর্থন করে না। তিনি যে কথা বলেছেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। একজন আদিবাসী মহিলা হয়ে আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।” অন্যদিকে ভাষণ সংযতভাবে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। তিনি বলেন, “এটাকে আমি কোনও ভাবেই সমর্থন করি না। এটা ওঁর ব্যক্তিগত মতামত। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে যাঁরা রাজনীতিতে এসেছি, আমার মনে হয় না তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বা চেহারা নিয়ে কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে বলে। এছাড়া আমরা যে ভাষণ দিই সেটাও সংযতভাবে দিলেই ভালো হয়। রাজনীতির ময়দানে নেমে মতের অমিল হতেই পারে। তর্ক বিতর্কের জায়গা রয়েছে। তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করাটা ঠিক নয়। দলও এটাকে সমর্থন করে না। আমি বার বার সবার কাছে অনুরোধ করব যে কথা বলার সময় ভাষাজ্ঞানটা সংযত ভাবে করলে ভালো হয়।”

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *